পুরনো বাংলাদেশকে বিদায় বলে নতুন বাংলাদেশ তৈরি করতে চান বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

যুক্তরাজ্যের লন্ডনে চারদিনের সরকারি সফরের দ্বিতীয় দিনে আজ বুধবার (১১ জুন) চ্যাথাম হাউসে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

নির্বাচন প্রসঙ্গে ড. ইউনূস বলেন, ইতিহাসের সবচেয়ে সুন্দর নির্বাচন হবে এবার। নির্বাচনের সময়ও ঠিক, জনগণও প্রস্তুত। ১৭ বছর পর এবার একটি সত্যি সত্যি নির্বাচন হতে যাচ্ছে। ভোট দেওয়া নিয়ে জনগণের মাঝে উৎসাহ রয়েছে।

ড. ইউনূস আরও বলেন, বিগত ১৭ বছর বাংলাদেশের তরুণেরা ভোট দিতে পারেনি। তাদের মতামতের মূল্যায়ন করা হয়নি। তারা নতুন বাংলাদেশের অপেক্ষায়। আগামী নির্বাচন শুধু নিয়ম রক্ষার ভোট হবে না; শুধু নতুন সরকারের জন্য নয়, ভোট হবে নতুন বাংলাদেশ তৈরির জন্য। এই প্রতিজ্ঞাই আমরা করেছি। আমাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তরুণদের স্বপ্ন পূরণের; যারা কদিন আগেই জীবন দিয়েছে। আমরা তাদের স্বপ্নকে শ্রদ্ধা জানাই। আমরা পুরনো বাংলাদেশকে বিদায় বলে নতুন বাংলাদেশ তৈরি করতে চাই।

নতুন বাংলাদেশ সংজ্ঞায় তিনটি বিষয়ের কথা উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা। এক. সংস্কার, দুই. বিচার ও তিন. নির্বাচন।

লন্ডনের স্থানীয় সময় আজ সন্ধ্যা ৬টায় সেন্ট জেমস প্যালেসে ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসের আমন্ত্রণে কিংস ফাউন্ডেশনের ৩৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে নৈশভোজে অংশ নেবেন প্রফেসর ইউনূস।

এর আগে সফরের প্রথম দিনে মঙ্গলবার (১০ জুন) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে কমনওয়েলথের মহাসচিব শার্লি আয়োরকর বচওয়ে বৈঠক করেন।

এছাড়া এদিন ব্রিটিশ অল-পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের (এপিপিজি) সদস্যরা, মেনজিস অ্যাভিয়েশনের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও এয়ারবাসের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।