আদালত প্রতিবেদক
এমপি আনার হত্যা মামলায় তিন আসামি আদালতে
ভারতের কলকাতায় সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজিম আনারকে খুনের উদ্দেশ্যে অপহরণ ও হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগের মামলায় গ্রেপ্তার তিন আসামিকে আদালতে হাজির করেছে পুলিশ। তাদের ১০ দিন করে রিমান্ডে নিতে আবেদন করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার (২৪ মে) দুপুর ২ টা ৪০ মিনিটে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক দিলরুবা আফরোজ তিথির আদালতে আসামিদের হাজির করা হয়।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এ মামলায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ১০ দিনের রিমান্ড চেয়েছে। কিছুক্ষণ পরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ২০নং আদালতে শুনানি হবে।
গ্রেপ্তাররা হলেন—আমানুল্লাহ ওরফের শিমুল ভূঁইয়া, শিলাস্তি রহমান ও ফয়সাল আলী ওরফে সাজি।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৩ মে) এমপি আনোয়ারুল আজীম হত্যার ঘটনায় আগামী ৪ জুলাই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (কর্মকর্তা) জালাল উদ্দিন বলেন, গত বুধবার (২২ মে) রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় খুন করার উদ্দেশ্যে অপহরণের অভিযোগে মামলাটি করেন এমপি আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।
বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন, রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের বাসায় আমরা সপরিবারে বাস করি। ৯ মে রাত ৮টার দিকে আমার বাবা আনোয়ারুল আজিম আনার গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহ যাওয়ার উদ্দেশে যাত্রা করেন। ১১ মে বিকেল পৌনে ৫টার দিকে বাবার সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বললে বাবার কথাবার্তা কিছুটা অসংলগ্ন মনে হয়। এরপর বাবার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও বন্ধ পাই। ১৩ মে বাবার ভারতীয় নম্বর থেকে উজির মামার হোয়াটসঅ্যাপে একটি ক্ষুদে বার্তা আসে। এতে লেখা ছিল, ‘আমি হঠাৎ করে দিল্লি যাচ্ছি, আমার সঙ্গে ভিআইপি রয়েছে। আমি অমিত সাহার কাজে নিউটাউন যাচ্ছি। আমাকে ফোন দেওয়ার দরকার নেই। আমি পরে ফোন দেব।’ এ ছাড়া আরও কয়েকটি বার্তা আসে। ক্ষুদে বার্তাগুলো আমার বাবার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অপহরণকারীরা করে থাকতে পারে।
ডরিন আরও উল্লেখ করেন, বিভিন্ন জায়গায় বাবার খোঁজ করতে থাকি। কোনো সন্ধান না পেয়ে তার বন্ধু গোপাল বিশ্বাস বাদী হয়ে ভারতীয় বরানগর পুলিশ স্টেশনে সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপরও আমরা খোঁজাখুঁজি অব্যাহত রাখি। পরবর্তীতে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানতে পারি অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজশে বাবাকে অপহরণ করেছে।
