ভারতে পাচার হওয়া ১৯ বাংলাদেশি নারী, পুরুষ ও শিশু বিভিন্ন মেয়াদে সাজাভোগ শেষে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ফিরেছেন। শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদেরকে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

দেশে ফেরা ব্যক্তিরা হলেন–স্নেহ বালা, হাসিবুল শেখ, শান্ত বর্মন, রিয়াজ মোল্লা সিয়াম শেখ, আকাশ চন্দ্র দাস, আফরিন জাহান, প্রিয়ন্তি খাতুন, আকলিমা খাতুন, মাসুম বিল্লাহ, সন্দিপ পাল, তৌফিক, অনিক চৌধুরী, মাসুদ সর্দার, সৌরভ বালা, রবিউল শেখ, মধু খান, আন্নি আক্তার, জেসমিন আক্তার, জাকিয়া আক্তার। তারা জামালপুর, নাটোর, সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, পঞ্চগড়, চাঁদপুর, বাগেরহাট, খুলনা, লালমনিরহাট ও নড়াইল জেলার বাসিন্দা। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান বিশ্বাস বলেন, ‘ফেরত আসা ব্যক্তিরা ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ধ্রুবাশ্রম, লিলুয়া, কিশোরালয় ও আনন্দ আশ্রম নামে শেল্টার হোমে ছিল।’ 

দেশে ফেরার পর জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার সাতজন, মহিলা আইনজীবী সমিতি ছয়জন ও রাইটস যশোর নামে একটি বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) ছয়জনকে নিজেদের হেফাজতে নেন। এসব মানুষকে তাদের পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছে এই তিন এনজিও।

ওসি কামরুজ্জামান বিশ্বাস বলেন, ‘ভালো কাজ দেওয়ার কথা বলে দালালরা তাদেরকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নিয়ে যায়। সেখানে বিভিন্ন বাসাবাড়িতে কাজ করার সময় পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ তাদেরকে আটক করে আদালতে পাঠায়। আদালত তাদের কারাগারে পাঠায়। সেখান থেকে তাদের ছাড়িয়ে নিয়ে নিজেদের আশ্রয়ে রাখে কয়েকটি এনজিও। পরে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে তাদেরকে আজ ফেরত আনা হয়েছে।’