যেভাবে পালাল গারো তরুণী ধর্ষণ মামলার আসামি

রাজধানীর বাড্ডায় গারো তরুণী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি রুবেল কৌশলে আদালত থেকে পালিয়েছেন।
আজ রোববার ঢাকার অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) আনিসুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে জানান, আসামি রুবেলকে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য সিএমএম আদালতে হাজির করা হয়। রুবেলের সঙ্গে তখন মামলার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) ইহসানুল হাসান ও কনস্টেবল দীপক চন্দ্র পোদ্দার ছিলেন।
পুলিশ কর্মকর্তা জানান, তদন্ত কর্মকর্তা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার কিছু প্রক্রিয়ার জন্য বিচারকের খাসকামরায় ঢোকেন। তখন আসামিকে কনস্টেবলের দায়িত্বে রাখা হয়।
‘তদন্ত কর্মকর্তা বিচারকের খাসকামরা থেকে বের হয়ে দেখেন আসামি নেই। তখন কনস্টেবলকে জিজ্ঞেস করলে জানান, তিনি বাথরুমে গিয়েছিলেন। তবে আসামির হাতে হাতকড়া পরানো ছিল।’
পুলিশের উপকমিশনার আরো বলেন, আদালতের কোনো দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা সেখানে ছিলেন না। শুধু বাড্ডা থানা থেকে পাঠানো কনস্টেবল ও তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন।
তবে আদালতের আইনজীবীরা জানান, আসামি সিএমএম আদালত থেকে পালালেও তাঁর হাতে হাতকড়া পরানো ছিল। সিএমএম আদালত চত্বরে ব্যাপক পুলিশের সমাগম থাকে বিকেলে। কীভাবে সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে আসামি পালিয়ে গেল তা বোধগম্য নয়।
এদিকে আসামি পালানোর অভিযোগে দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
গত শুক্রবার রাতে বিমানবন্দর রেলস্টেশন এলাকা থেকে গারো তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে রুবেলকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১।
গত ২৫ অক্টোবর বাড্ডা এলাকায় এক গারো তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় সালাউদ্দিন নামের তাঁর এক সহযোগী গ্রেপ্তার হলেও মূল হোতা রুবেল পলাতক ছিলেন।