নিজ গ্রামে সমাহিত হলেন মুক্তিযোদ্ধা হেমায়েত উদ্দিন

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক হেমায়েত বাহিনীর প্রধান হেমায়েত উদ্দিন বীরবিক্রম।
আজ সোমবার আসরের নামাজের পরে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার টুপুরিয়া গ্রামে জানাজা শেষে যথাযথ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় হেমায়েত উদ্দিনের মরদেহ দাফন করা হয়। এ সময় যশোর সেনানিবাসের ৫৫ পদাতিক বাহিনীর একটি চৌকস দল তাঁকে গার্ড অব অনার দেয়। পরে পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকেও আলাদাভাবে তাঁকে সম্মান জানানো হয়।
টুপুরিয়া গ্রামে ‘হেমায়েত বাহিনীর মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি জাদুঘর’-এর সামনে এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সমাহিত করা হয়। এ সময় গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোকলেসুর রহমান সরকার ছাড়াও জেলার মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।
গত শনিবার সকাল ৬টা ১০ মিনিটে রাজধানীর ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ৭৪ বছর বয়সী বিশিষ্ট এই মুক্তিযোদ্ধা।
সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য আজ সকালে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে হেমায়েন উদ্দিনের মরদেহ রাখা হয়। পরে হেলিকপ্টারে করে তাঁর লাশ কোটালীপাড়ায় গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।
মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদান রাখায় হেমায়েত উদ্দিনকে বীরবিক্রম উপাধিতে ভূষিত করা হয়। একই অবদানের জন্য তাঁর নামে কোটালীপাড়ার টুপুরিয়া গ্রামে ‘হেমায়েত বাহিনীর মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি জাদুঘর’ নির্মাণ করা হয়। ২০১৩ সালের ১২ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাদুঘরটি উদ্বোধন করেন।
হেমায়েত বাহিনীতে সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ছিলেন পাঁচ হাজার ৫৫৮ জন। এ বাহিনীর যুদ্ধক্ষেত্র বরিশালের উত্তরাঞ্চল, খুলনা-বাগেরহাট ও নড়াইলের কালিয়া, গোপালগঞ্জ এবং মাদারীপুরের পশ্চিমাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।