জিনপিং-খালেদা জিয়া বৈঠক

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর হোটেল লা মেরিডিয়ানে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় দুই নেতার মধ্যে।
বৈঠকে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভূমিকার কথা তুলে ধরে বিএনপি চেয়ারপারসন আশা করেন, সামনের দিনে চীন-বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাহবুবুর রহমান, নজরুল ইসলাম খান ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবিহউদ্দিন আহমেদ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে কথা হয়েছে চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে উল্লেখ করে বৈঠক শেষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বাংলাদেশ ও চীনের পরস্পরের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। চীন সব সময় বাংলাদেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও অকৃত্রিম বন্ধু। বাংলাদেশ আশা করে, চীন সব সময় তাদের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা করবে এবং পাশে থাকবে। একই সঙ্গে চীনও আশা করে, বাংলাদেশ সব সময় চীনের যে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এবং একই সঙ্গে ভূ-রাজনীতির সঙ্গে চীন যে ভূমিকা পালন করছে- সেই উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ চীনকে সমর্থন জোগাবে। অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে দুই নেতার আলোচনা হয়েছে। পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়েছে।
আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ চীনের প্রেসিডেন্টের বিমান ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দরে শি জিনপিংকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
বিকেল ৩টার কিছু পরে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষ হয় ৪টার কিছু পর। এরপর দুই নেতার উপস্থিতিতে ২৬টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়। পরে দুই নেতা যৌথ বিবৃতি দেন।
শি জিনপিং সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে নৈশভোজে যোগ দেবেন।