ঐতিহাসিক সফরে ঢাকায় চীনের প্রেসিডেন্ট

স্মরণকালের সবচেয়ে জাঁকজমকপূর্ণভাবে বাংলাদেশে স্বাগত জানানো হলো চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে।
ঐতিহাসিক সফরে আজ শুক্রবার দুপুরে তিনি ঢাকায় অবতরণ করেন।
চীনের প্রেসিডেন্টের এই সফরে ২৫টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশের আকাশসীমায় প্রবেশ করার পর চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে বহনকারী এয়ার চায়নার বিমানটিকে এসকর্ট করে নিয়ে আসে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর চারটি ফাইটার।
বেলা ১১টা ৩৬ মিনিটে চীনের প্রেসিডেন্টকে বহনকারী বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ তাঁকে স্বাগত জানান।
পরে সেনাবাহিনীর আর্টিলারি কোর শি জিনপিংকে স্বাগত জানিয়ে রানওয়েতে ২১ বার তোপধ্বনি দেয়। তিন বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত একটি দল এ সময় সফরকারী প্রেসিডেন্টকে সশস্ত্র সালাম জানায়। বাজানো হয় দুই দেশের জাতীয় সংগীত। দুই প্রেসিডেন্ট এ সময় গার্ড পরিদর্শন করেন।
পরে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সফররত চীনের প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশের মন্ত্রিপরিষদের সদস্যসহ উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন।
১৯৮৬ সালের মার্চ মাসে চীনের প্রেসিডেন্ট লি জিয়ান নিয়ানের বাংলাদেশ সফরের দীর্ঘ তিন দশক পর কোনো চীনা প্রেসিডেন্ট এই প্রথম বাংলাদেশ সফরে আসছেন।
শি জিনপিংয়ের সফরসঙ্গীদের মধ্যে রয়েছেন চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সেন্ট্রাল কমিটির পলিটব্যুরোর (সিসিসিপিসি) সদস্য ওয়াং হুনিং, সিসিসিপিসির সদস্য সচিব লি জান শু, স্টেট কাউন্সিলর ইয়াং জিয়েছি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং জি, জাতীয় উন্নয়ন ও সংস্কার কমিশনমন্ত্রী (এনডিআরসি) জু শাওসি, অর্থমন্ত্রী লো জিয়েই, বাণিজ্যমন্ত্রী হু চেং, চীনের পিপলস ব্যাংকের গভর্নর ঝো জিয়াওচুয়ান, আর্থিক ও অর্থনীতিবিষয়ক কার্যালয়ের পরিচালক লিউ হে, সিসিপিসির জেনারেল কার্যালয়ের নির্বাহী উপপ্রধান ডিং জুজিয়াং, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত মা মিগকিয়াং, সিসিসিপিসির জেনারেল কার্যালয়ের উপপ্রধান ওয়াং শাওজুন এবং সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী কং জুয়ানইউ।