শেষ হয়নি ঝালকাঠির দুই মামলার বিচার

২০০৫ সালে সারা দেশে সিরিজ বোমা হামলার ১১ বছর পূর্তি হয়েছে আজ ১৭ আগস্ট। দীর্ঘ এ সময়েও শেষ হয়নি এ হামলার ঘটনায় ঝালকাঠিতে দায়ের করা দুটি মামলার বিচার।
বর্তমানে ঝালকাঠির বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২-এ মামলা দুটির সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। একটি মামলায় ২১ সাক্ষীর মধ্যে আটজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। অপর মামলাটিতে ১৫ জনের মধ্যে ছয়জনের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি সাক্ষীদের আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলেও তাঁরা উপস্থিত হচ্ছেন না। সাক্ষ্যও দিচ্ছেন না।
২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বেশ কয়েকটি বোমার বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে ঝালকাঠি শহর। এ সময় বোমা বিস্ফোরিত হয় ঝালকাঠি জেলা জজ আদালত চত্বর, জেলা প্রশাসক কার্যালয়, আইনজীবী সমিতি, সদর উপজেলা পরিষদ চত্বর, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, প্রেসক্লাব ও বিকনা টেম্পোস্ট্যান্ডে।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে বিস্ফোরণে সাংবাদিক দুলাল সাহা ও পুলিশসহ ছয়জন আহত হন। উপজেলা পরিষদ চত্বরে আহত হন বোমার বাহক রিকশাচালক ফরিদ হোসেন।
এ ঘটনায় ঝালকাঠি থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহরাব আলী বাদী হয়ে বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে দুটি মামলা করেন। দুটি মামলাতেই আহত অবস্থায় আটক ফরিদ হোসেনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ২০০৬ সালের ২২ অক্টোবর গোয়েন্দা পুলিশ দুটি মামলাতেই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
২০০৯ সালে মামলার বাদী মারা যান। এর পর থেকে আজ পর্যন্ত আদালতে পুলিশ বাদীর মারা যাওয়ার প্রমাণপত্র দাখিল করেনি। এতে আটকে যায় মামলার বিচারকাজ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলা পরিচালনাকারী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারপক্ষের অতিরিক্ত কৌঁসুলি এম আলম খান কামাল বলেন, এ রকমের একটি গুরুত্বপূর্ণ মামলায় সাক্ষীরা আদালতে উপস্থিত হয়ে সাক্ষ্য না দেওয়ায় কিছুটা বিড়ম্বনা হচ্ছে।