পুলিশি হয়রানির প্রতিবাদে ২০০ বছরের পুরোনো হাটে ধর্মঘট

পুলিশি হয়রানির প্রতিবাদে ঝালকাঠির একটি হাটের পণ্য বেচাকেনা বন্ধ করে দিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
পুলিশের হয়রানি ও চাঁদা দাবির প্রতিবাদে ঝালকাঠি জেলার বৃহত্তর বাজার রাজাপুর বাঘরি হাটে পণ্য বেচাকেনা বন্ধ করে দিয়ে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। তবে স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
আজ রোববার সকাল থেকে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এ ধর্মঘট শুরু করেন। ২০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে জেলার বৃহত্তর এই হাটে বেচাকেনা চলে আসছে।
ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা।
ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল থেকে ট্রাকযোগে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আনার পর রাজাপুর বাঘরি হাটের সড়কে তা নামানো হয়। পণ্য নামানোর সময় রাজাপুর থানা পুলিশ বিভিন্ন অজুহাতে ট্রাক চালক ও শ্রমিকদের আটক ও হয়রানি করে। এ ধরনের হয়রানির ফলে ট্রাক মালিক শ্রমিক সংগঠনগুলো পণ্য আনা নেওয়ার কাজে তাদের ট্রাক ভাড়া দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এসব বিষয়ে ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন সময়ে উপজেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাননি বলে দাবি করেন তাঁরা।
অবশেষে আজ সকাল থেকে হাটের শতাধিক ব্যবসায়ীরা বিকিকিনি বন্ধ করে দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আরিফুর রহমান রনি বলেন, স্থাণীয়রা বাঘরি হাট থেকেই প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করেন। হঠাৎ করে এটির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেলে তাঁদের দুর্ভোগের সীমা থাকবে না।
বাঘরি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জাকির সিকদার বলেন, সড়কের পাশে মালামাল নামানো হলেও পুলিশ অনর্থক ব্যবসায়ীদের হয়রানি করে। ট্রাকচালক ও বাজার শ্রমিকদের মারধর ও আটক করে। তাই বাধ্য হয়েই এই ধর্মঘটের ডাক দিতে হয়েছে।
তবে এ বিষয়ে রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম সাদিকুর রহমান বলেন, ব্যবসায়ীরা আঞ্চলিক মহাসড়কে পণ্য ওঠা-নামা করায় ওই সড়কে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টিসহ যাত্রীদের দুর্ভোগ হয়। তাই তাদের পণ্য অন্যত্র নামাতে বলা হয়েছে। কোনো হয়রানির কথা অস্বীকার করেন তিনি। হাট চালুর ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা করা হচ্ছে বলেও জানান ইউএনও।
চাঁদাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করে রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনীর উল গিয়াস বলেন, হাটের পাশেই বাসস্ট্যান্ড, তাই সড়ক যানযট মুক্ত রাখতেই অনেক সময় ট্রাক সরিয়ে দিতে হয়। এ সময় কাউকে হয়রানি করা হয় না।