সরকার বৈজ্ঞানিক যুক্তির অপেক্ষা করছে : বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বাগেরহাটের রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হলে সুন্দরবনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হবে এমনটা বললেও, এর বিরোধিতাকারীরা তার স্বপক্ষে বৈজ্ঞানিক কোনো যুক্তি দিতে পারেনি। সরকার এখনো সে ধরনের যুক্তির জন্য অপেক্ষা করছে।
আজ রোববার সকালে রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে ‘গ্রাহক সেবায় প্রি-পেমেন্ট মিটার’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
নসরুল হামিদ জানান, ১০ বছর আগে চট্টগ্রামের খুলশীতে একটি পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে হাতে নেওয়া হয় প্রিপেমেন্ট মিটার প্রকল্প। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত এক লাখ নয় হাজার ৬৫৭ জন গ্রাহককে এই সুবিধার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে।
এটি পরিকল্পনার চেয়ে খুবই কম মন্তব্য করে গ্রাহকদের সুবিধার্থে মুঠোফোনের রিচার্জ কার্ডের মতো বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার কার্ড সহজলভ্য করার পরামর্শ দেন প্রতিমন্ত্রী। আগামী পাঁচ বছরে দুই কোটি গ্রাহককে এই সেবার আওতায় আনার পরিকল্পনা আছে এবং এর ফলে বিদ্যুতের সিস্টেম লস পাঁচ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনা যাবে বলেও আশাবাদ তাঁর। তবে সামনের দিনে এটিসহ বিদ্যুৎ খাতের বড় বড় প্রকল্পে দক্ষ জনবলের অভাব বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে বলেও আশঙ্কা নসরুল হামিদের।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘রামপাল নিয়ে আমরা বহুবার চেষ্টা করেছি। পরিবেশবাদীদের নিয়ে বিদ্যুৎ ভবনে বসেছি। আমরা আশা করছি, তারা একটি বৈজ্ঞানিক কারণ দেখাক যে রামপাল প্রকল্প হলে সুন্দরবন ধংস হয়ে যাবে। আমরা কিন্তু এখনো সেটার অপেক্ষায় আছি। যেসব কারণে ক্ষতি হয় সেগুলোর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি কি না দেখার বিষয় সেটাই। কিন্তু আমরা যদি বলতেই থাকি শেষ হয়ে গেল, শেষ হয়ে গেল- কোনো যুক্তি ছাড়া। আমার মনে হয় সেটা ঠিক হচ্ছে না।’