জঙ্গিবাদ প্রতিরোধের পাশাপাশি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মাহমুদুল হক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, ঠিক তখন বিএনপি-জামায়াত জোটের মদদপুষ্ট স্বাধীনতাবিরোধীরা বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। এসব ষড়যন্ত্রের অংশই হচ্ছে গুলশানে জঙ্গি হামলা করে দেশি-বিদেশি নাগরিকদের হত্যাকাণ্ড এবং শোলাকিয়ায় ঈদ জামাতে হামলা। এসব ষড়যন্ত্রকারীর বিরুদ্ধে সজাগ থেকে জঙ্গি হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
‘জঙ্গিবাদ খতম কর, বাংলাদেশ রক্ষা কর’ স্লোগান সামনে রেখে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন ও জঙ্গিবাদ নির্মূল করার লক্ষ্যে রাঙামাটি জেলা যুবলীগের উদ্যোগে আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন সৈয়দ মাহমুদুল হক।
রাঙামাটি জেলা যুবলীগের সভাপতি ও রাঙামাটি পৌরসভার মেয়র মো. আকবর হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও জেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. নূর মোহাম্মদ কাজলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় আরো বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক আলহাজ জাফর আহমদ, উপসম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী, উপসম্পাদক মীর মোহাম্মদ মহিউদ্দীন।
শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন জেলা যুবলীগের সহসভাপতি মো. শহীদুল আলম স্বপন, সাংগঠনিক সম্পাদক দীপক দাশ মানিক, সদর থানা যুবলীগের সভাপতি মো. আবু মুছা, শহর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওহাব খান, কাউখালী উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নাজিম উদ্দিন, কাপ্তাই উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. তানভীর আহম্মেদ, বিলাইছড়ি উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আল মাহমুদ, লংগদু উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম, নানিয়ারচর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ঝিল্লোল মজুমদার।
যুবলীগের নেতারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সমতল অঞ্চলের মধ্যে অনেক তফাৎ রয়েছে। পাহাড়ের বিভিন্ন গহিন অরণ্যে বিভিন্ন অস্ত্রধারীর অবস্থান রয়েছে। সেসব সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান করাসহ পার্বত্যাঞ্চলে জঙ্গিদের সচেতনতামূলক কর্মসূচি নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।