ময়মনসিংহে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায় আটক তিনজনের নামে মামলা

অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার অভিযোগে ময়মনসিংহে আটক তিনজনের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে তাঁদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. শাহ আলম বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
এদিকে, অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শুক্রবার দিনের কোনো একসময়ে আটকদের আদালতে পাঠানো হবে। মামলা তদন্তকারী ওসি (প্রশাসন) মো. কামরুল ইসলাম এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে শহরের সানকিপাড়ার এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জাম, তিন সহস্রাধিক বিভিন্ন মোবাইল অপারেটরের বায়োমেট্রিক করা সিম, তিনটি মোবাইল, সিম নিবন্ধনের একটি নোটপ্যাডসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ। আটকরা হলেন—জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলার দিগপাইত গ্রামের জামাল আকন্দের ছেলে হুমায়ুন কবীর, বাকুরচর গ্রামের তৈয়ব আলীর ছেলে রুহুল আমীন এবং টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলার কর্ণ দক্ষিণপাড়া গ্রামের আবদুস ছাত্তারের ছেলে জাহেদুল ইসলাম। অবৈধ এ ব্যবসার মূল হোতা হুমায়ুন কবীর, অন্য দুজন কর্মচারী বলে জানায় পুলিশ। ওসি আরো জানান, একটি আঙুলের ছাপ নিয়ে আটকরা ২০টি করে সিম নিবন্ধন করছিল।
আটকরা এক বছর ধরে এই ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল বলে জানান ওসি। ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম জানান, বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশ খবর পায়, শহরের সানকিপাড়া এলাকায় সৌদিপ্রবাসী জনৈক সুরুজ আলীর বাসায় অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা চলছে। ওসি কামরুল ইসলাম, এসআই শাকের আহাম্মেদ ছয়তলা বাসার পাঁচতলায় পুলিশ নিয়ে অভিযান চালান। প্রায় দুই ঘণ্টা বাসার একটি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে আটক করে অবৈধ তিন ভিওআইপি ব্যবসায়ীকে। জব্দ করে থানায় আনেন ভিওআইপি সরঞ্জাম, মোবাইল, পিসি ও মনিটর। ময়মনসিংহে এই প্রথম অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ।