সালাহ উদ্দিনের ঘটনায় রুলের আদেশ ১৫ এপ্রিল

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদকে খুঁজে বের করতে হাইকোর্টের জারি করা রুলের শুনানি শেষ হয়েছে। আগামী ১৫ এপ্রিল এ বিষয়ে আদেশের দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে এ বিষয়ে আদেশের দিন নির্ধারণ করেন।
আজ দ্বিতীয় দিনের শুনানিতে সালাহ উদ্দিন আহমেদের আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাঁকে ধরে নিয়ে গেছে এতে কোনো সন্দেহ নেই। কেননা এর আগে পুলিশ ৭ মার্চ তাঁর গাড়ির ড্রাইভার ও পিএসকে ধরে নিয়ে নির্যাতন করে তিনি কোথায় আছেন সে তথ্য বের করে। এবং সে তথ্য অনুযায়ী তারা তাঁকে ধরে নিয়ে বর্তমানে লুকিয়ে রেখেছে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’
অপর আইনজীবী মওদুদ আহমদ বলেন, ‘রক্ষীবাহিনীও শাহজাহান নামক একজনকে এভাবে ধরে নিয়ে গিয়েছিল। পরে হাইকোর্টের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে ফেরত দেয়। সালাহ উদ্দিন আহমেদকে খুঁজে বের করতে আদালত একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দিতে পারেন। এবং এই কমিটি গঠনের জন্য আদালতের যথাযথ ক্ষমতা রয়েছে। আমরা আদালতের কাছে প্রার্থনা করছি যেন তাকে খুঁজ বের করার নির্দেশ দেওয়া হয়।’
অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মমতাজ উদ্দিন ফকির বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাঁকে ধরে নেয়নি। তিনি নিজেই আত্মগোপন করে আছেন। তদন্ত কমিটির প্রয়োজন নেই, রুল খারিজ করে দেওয়া হোক।’
পরে আদালত ১৫ এপ্রিল আদেশের দিন ধার্য করেন।
গত ১২ মার্চ সালাহ উদ্দিন আহমেদকে খুঁজে বের করতে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরার একটি বাড়ি থেকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়—এমন অভিযোগ করে থানা পুলিশের পাশাপাশি উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন সালাহ উদ্দিনের পরিবার।