মুক্তাগাছায় জালভোট, আ. লীগের ৩ নেতাকর্মী আটক

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলাকালে এক প্রার্থীর পক্ষে জাল ভোট দেওয়া নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষ থামাতে গুলি চালিয়েছে পুলিশ।
আজ শনিবার উপজেলার দুল্লা ইউনিয়নের বিন্নাকড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে জাল ভোট দেওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে।
এ ছাড়া আরেকটি কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে জাল ভোট দেওয়ার সময় দলের এক নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।
মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু মো. ফজলুল হক করিম জানান, কাশিমপুর ইউনিয়নের ৪০ নম্বর ঝনকা কেন্দ্রে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে জাল ভোট দেওয়ার সময় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল হক আটক করা হয়েছে।
এর আগে আজ দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে বিন্নাকড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে জাল ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ থামাতে গুলি করে পুলিশ। তবে এই গুলিতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
সংঘর্ষের সময় কেন্দ্র এলাকা থেকে রেজাউল ও সুলতান নামের দুই আওয়ামী লীগের কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। পরে ওই কেন্দ্রের ভোটগ্রহণও স্থগিত করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিন্নাকড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার স্বপন কুমার পাল জানান, আওয়ামী লীগ সমর্থকরা কেন্দ্র থেকে কিছু ব্যালট পেপার, সিল এবং স্ট্যাম্প নিয়ে গেছে। পরে কেন্দ্রটি স্থগিত করা হয়।
এদিকে মুক্তাগাছার খেরুয়াজানি ইউনিয়নে সৈয়দগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটগণনা শেষে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী গোলযোগের চেষ্টা করলে আটটি গুলি ছোড়ে পুলিশ।