নেত্রকোনায় দুই ধর্ষকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

পৃথক ধর্ষণ মামলায় দুই ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে নেত্রকোনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক ড. এ কে এম আবুল কাশেম দুটি মামলায় রায় ঘোষণা করেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, নেত্রকোনা সদর উপজেলার মৌগাতী ইউনিয়নের হাঁপানিয়া গ্রামের মো. কাজল ইসলাম (২৫) ২০১১ সালের ২০ জুলাই রাত দেড়টার দিকে একই গ্রামের এক গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন। এ ব্যাপারে ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে মো. কাজল ইসলামকে একমাত্র আসামি করে ২৪ আগস্ট আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে একই বছরের ২৭ ডিসেম্বর কাজলের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র করেন। সাতজনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি কাজলের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট গোলাম মোহাম্মদ খান পাঠান বিমল, আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন মাহবুব।
এদিকে, পূর্বধলা উপজেলার খলিশাউড়া ইউনিয়নের ধারা গ্রামের রাজাপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ২০১২ সালের ২৩ জুন বিকেলে বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে একই গ্রামের শফিকুল ইসলাম (২০) তাকে ধর্ষণ করেন। এ ব্যাপারে ওই ছাত্রী বাদী হয়ে শফিকুল ইসলাম, ইসলাম উদ্দিনের স্ত্রী সুফিয়া আক্তার ও রবি মিয়ার স্ত্রী হাদিছা বেগমকে আসামি করে ২৪ জুন পূর্বধলা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে একই বছরের ৩১ জুলাই আসামি শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পাঁচজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামি শফিকুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) গোলাম মোহাম্মদ খান পাঠান বিমল আর আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট আবুল হাশিম।