সব হারানোর কান্নার মাঝে স্বস্তি এনে দিলেন ওসি

মুরগির খাবার কিনতে ৯৫ হাজার টাকা নিয়ে বের হন নেত্রকোনার পূর্বধলার পোলট্রি খামারি আবদুল হাকিম। ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন তিনি। গত ৫ মে গাছতলা এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে একটি ট্রাক চাপা দিলে আটজন মারা যান।
লাশ উদ্ধারের সময় আবদুল হাকিমের পকেট থেকে ৯৫ হাজার ২০০ টাকা পান ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম।
আজ সোমবার নিহত আবদুল হাকিমের স্ত্রী বিউটির কাছে ৯৫ হাজার ২০০ টাকা তুলে দিয়েছেন ওসি কামরুল ইসলাম।
আজও কেঁদেছেন বিউটি। তবে কান্নায় ছিল সাময়িক স্বস্তির প্রকাশ। স্বামীকে হারানোর বেদনা কোনো কিছুর সঙ্গে তুলনীয় নয়। তাই বলে টাকাটা ফেরত পাবেন তা কখনো ভাবেননি তিনি। তাই এ ঘটনায় রীতিমতো বিস্মিত হয়েছেন তিনি।
ওসি কামরুলের কাছ থেকে টাকা ফিরে পেয়ে বিউটি বলেন, ‘এমন নজির আর দেহি নাই। আমি সন্তান নিয়ে এখন বাঁচার জন্য সংগ্রাম করতে পারব। শুরু করব স্বামীর পোলট্রি খামার ব্যবসা।’
এ সময় বিউটির সঙ্গে ছিলেন তাঁর ছেলে ইসলাম (৯), বিউটির বাবা আবদুর রশিদ মল্লিক (৬৭) ও নিহত হাকিমের বড় ভাই আবদুল হামিদ। তাঁরা নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার খলিসাপুর ইউনিয়নের শিমুলকান্দি কুড়পাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
গত ৫ মে ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা মহাসড়কের গাছতলা বাজারের কাছে ঘটা ওই দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই নারী, শিশুসহ আট যাত্রী প্রাণ হারান। দুর্ঘটনার পর পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে এবং নিহতদের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ সময় নিহত হাকিমের পকেটে টাকা দেখতে পেয়ে কোতোয়ালি থানার ওসি কামরুল তা সংরক্ষণ করেন এবং নিহতের পরিবার-পরিজনকে খবর দেন।