রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যার প্রতিবাদ ও বিচার দাবিতে আজও উত্তাল বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা।

আজ মঙ্গলবার  বেলা পৌনে ১২টা থেকে ১২টা ২০ পর্যন্ত ফটকের সামনে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করে শিক্ষার্থীরা। এ বিক্ষোভ সমাবেশে বিভিন্ন বিভাগের প্রায় দেড় হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেন। সমাবেশ থেকে পরবর্তী কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।

ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিব উদ্দিন জানান, আগামীকাল ৯টা থেকে মিছিল-সমাবেশসহ বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। ক্লাসও বর্জনের আহ্বান জানানো হয়েছে। এ ছাড়া দুপুর ১টা পর্যন্ত মহাসড়ক অবরোধেরও ঘোষণা দেন তাঁরা।

আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ কলা ভবনের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ফটকের সামনে আসে শিক্ষার্থীরা। পরে তারা মহাসড়কে দুই পাশে দুই কিলোমিটার দীর্ঘ মানববন্ধনে দাঁড়ায়। এতে মুহূর্তে মহাসড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে শিক্ষার্থীরা শিক্ষক হত্যার বিচার দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেয়। খালি গায়ে বিভিন্ন স্লোগান লিখে হত্যার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবি জানায়। এ সময় তারা দ্রুত বিচার নিশ্চিত ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার দাবি জানায়।

এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় ক্যাম্পাসে প্রতিবাদী র‌্যালি বের করে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীরা। র‌্যালিটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে সিনেট ভবনের সামনে অবস্থান নেয়। পরে তারা বিভাগের সামনে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।

সাড়ে ১০টায় প্যারিস রোডে মানববন্ধন করে একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি।

রাবি ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি মতিউর রহমান মতুর্জার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. সুজিত সরকার, ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড অ্যাগ্রোনমি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক দুলাল আলী মোল্যা, চারুকলা বিভাগের প্রভাষক হুমায়ন কবির, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির রাজশাহী মহানগর সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল, জেলা সভাপতি শাহজাহান বরজাহান প্রমুখ।

মানববন্ধন থেকে অধ্যাপক রেজাউল হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।  এ সময় পুলিশ প্রশাসনের কাছে নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ঘাতকদের দ্রুত চিহ্নিত করে শাস্তির দাবি জানান শিক্ষকরা।

গত শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানাধীন শালাবাগান এলাকার বটতলা মোড়ে মহাসড়কের কাছাকাছি গলিতে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত হন অধ্যাপক রেজাউল করিম। তার পর থেকেই খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে টানা চতুর্থ দিনের মতো উত্তাল রয়েছে রাবি।

উল্লেখ্য, শিক্ষক সমিতি সাতদিনের আলটিমেটাম দিয়ে কর্মসূচি স্থগিত করলেও ইংরেজি বিভাগ ও বিভিন্ন সংগঠন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে।