রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক রেজাউল করিমের হত্যার প্রতিবাদ এবং খুনিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ‘রেজাউল করিম হত্যার বিচারপ্রার্থী নাগরিকবৃন্দ’ ব্যানারে সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়। 

সমাবেশে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ফাহমিদুল হক, ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি লাকী আক্তার, ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি সৈকত মল্লিক প্রমুখ।

ড. ফাহমিদুল হক বলেন, ‘আজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কতল করা যায়। সেই হিসেবে আমাকেও কতল করা যায়। আমি ব্লগ লিখি। কিন্তু ধর্মের বিরুদ্ধে কোনোদিন লিখিনি। এমনভাবে দৃষ্টান্ত রেখে হত্যা করা হচ্ছে, যার বিচার হবে না। বাংলাদেশ ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ সময় পার করছে।’ তিনি সরকারের কাছে সব হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন।

লাকী আক্তার বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আজকে শিক্ষক হত্যার অভয়ারণ্য হয়ে উঠছে। অধ্যাপক শফিউলের পর অধ্যাপক রেজাউল করিমকে হত্যা করা হলো। এই হত্যাকাণ্ডের মিছিল বাড়ছে। তনু হত্যার পর আমরা এক মাস আন্দোলন করেছি কিন্তু আজ পর্যন্ত দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলো না। বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে এই হত্যাকাণ্ড বেড়েই চলছে। আর অন্যদিকে সরকারের কাছ থেকে দায়সারা মন্তব্য করা হচ্ছে, যাতে হত্যাকারীরা উৎসাহিত হচ্ছে।

তনু হত্যার প্রতিবাদে আগামীকালের হরতালে অংশগ্রহণ করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান লাকী আক্তার।

সৈকত মল্লিক বলেন, রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের জীবন আজ চরম অনিশ্চয়তার দিকে যাচ্ছে। কোনো প্রকার তদন্ত নাই বিচার নাই- তারপরও বলে দেওয়া হচ্ছে আগের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে এর মিল রয়েছে। এর মাধ্যমে খুনিদের পক্ষ নেওয়া হচ্ছে। তিনি এসব হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।

সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অভিনু কিবরিয়া ইসলাম, ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির শিক্ষক রাকিবুল হাসান, অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম প্রমুখ।