পদ্মা সেতু -পায়রা বন্দর হলে মাথাপিছু আয় হবে ৩ হাজার ডলার

দেশের দক্ষিণাঞ্চলে তৈরি হতে যাওয়া পদ্মা সেতু এবং পায়রা নদী বন্দরের কাজ শেষ হলে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় তিন হাজার ডলারে দাঁড়াবে বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। তিনি বলেছেন, দেশ স্বয়ং সম্পূর্ণ হওয়ায় বিশ্বব্যাংককে চ্যালেঞ্জ করে বর্তমান সরকার নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ হাতে নিয়েছে।
আজ শনিবার দুপুরে ঝালকাঠি সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে কৃষি পণ্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের মধ্যে বিনামূল্যে বীজ, রাসায়নিক সার ও অন্যান্য উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শিল্পমন্ত্রী।
মন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, সরকারের গৃহীত প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়িত হলে ২০১৯ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবে।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশ খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ থাকে মন্তব্য করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দেশকে খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ করেছিল। ২০০১ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত যে সরকার যেভাবেই ক্ষমতায় ছিল তারা ২৬ লাখ টন খাদ্য ঘাটতি রেখে গেছে। আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর দেশকে খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ করে ২০১৫ সালে ৫০ হাজার টন চাল শ্রীলঙ্কায় রপ্তানি করেছে।
এ সরকার কৃষকদের উন্নতির জন্য সার ও কীটনাশকে ভর্তুকি এবং জনবসতি এলাকায় লোডশেডিং দিয়ে কৃষকদের সেচ ব্যবস্থা চালু করেছে।
ঝালকাঠি সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. সুলতান হোসেন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক মো. মিজানুল হক চৌধুরী, পুলিশ সুপার সুভাষ চন্দ্র সাহা, জেলা পরিষদ প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সরদার মো. শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শেখ আবু বকর সিদ্দিক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মকবুল হোসেন, জাতীয় শ্রমিক লীগ জেলা কমিটির আহ্বায়ক ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মোবারেক হোসেন মল্লিকসহ অন্যরা।
অনুষ্ঠানে ৯৫০ জন কৃষকের প্রত্যেককে পাঁচ কেজি করে উফশী আউশ, ২০ কেজি করে ইউরিয়া, ১০ কেজি করে ড্যাব, ১০ কেজি করে এমওপি এবং ১০ কেজি করে নেরিকা আউশ বীজ বিতরণ করা হয়।