যুব মহিলা লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০

ঝালকাঠির রাজাপুরে উপজেলা যুব মহিলা লীগের সম্মেলনে দুই পক্ষে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিকেলে যুব মহিলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন শুরু হয়। সম্মেলনের প্রথমার্ধে জেলা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা বক্তব্য দেন। পরে সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়। এ সময় ঝালকাঠি জেলা যুব মহিলা লীগের সভানেত্রী শারমীন মৌসুমী কেকা রাজাপুর উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভানেত্রী হিসেবে মুন্নি আক্তারের নাম ঘোষণা করেন।
ওই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী নাজনীন পাখি ও তাঁর সমর্থকরা হৈচৈ শুরু করেন। তাঁরা ‘কমিটি মানি না’ বলে স্লোগান দেন। এর একপর্যায়ে মুন্নি আক্তার ও নাজনীন পাখির সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। পাখির সমর্থকরা মিলনায়তনের ভেতরের চেয়ার ও টেবিল ভাঙচুর করেন। এ অবস্থায় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে। সংঘর্ষ ও লাঠিচার্জে উভয় পক্ষের ১০ জন নেতাকর্মী আহত হন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নাজনীন পাখিকে আটক করে।
আটকের আগে নাজনীন পাখি সাংবাদিকদের বলেন, ‘তৃণমূলের মতামত না নিয়েই মুন্নি আক্তারকে সভানেত্রী ঘোষণা করা হয়। এটা আমার সমর্থকরা মেনে নিতে পারেনি। তারা এর প্রতিবাদ করলে মুন্নি আক্তারের লোকজন আমাদের ওপর হামলা করে।’
মুন্নি আক্তার বলেন, ‘দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমার নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নাজনীন পাখি ও তাঁর সমর্থকরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। অডিটরিয়ামের মধ্যে থাকা টেবিল-চেয়ার ভাঙচুর করে। যারা দলের সিদ্ধান্ত মানে না, তাদের বিরুদ্ধে দলের নীতিনির্ধারকরাই সিদ্ধান্ত নেবে।’
ঝালকাঠি যুব মহিলা লীগের সভানেত্রী শারমিন মৌসুমী বলেন, সম্মেলনে উপস্থিত মহিলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মতামতের ভিত্তিতেই কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। সভানেত্রীর নাম ঘোষণা করার সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নাজনীন পাখি ও তাঁর সমর্থক কয়েকজন পুরুষ ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর শুরু করে। পরে পুলিশ পাখিকে আটক করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনীর উল গীয়াস বলেন, ‘সম্মেলনে উত্তেজনা ও সংঘর্ষ ঠেকাতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। আমরা নাজনীন পাখি নামে মহিলা লীগের এক নেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছি।’