রাঙামাটিতে নয়জন স্কুলছাত্রীর প্রাণ বাঁচানো ছাত্রলীগের তিন নেতা পেয়েছেন সাংগঠনিক স্বীকৃতি। বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য কাপ্তাই ছাত্রলীগের ওই তিন নেতাকে আজ রোববার সংবর্ধনা দিয়েছে জেলা ছাত্রলীগ।

আজ রোববার বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সংবর্ধিত নেতারা হলেন কাপ্তাই উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এ আর লিমন, কর্ণফুলী কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পবন পাল শ্রাবণ ও উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা নাসির উল্লাহ।

গত ১৪ মার্চ বিকেলে কাপ্তাইয়ের নূরুল হুদা কাদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নয় শিক্ষার্থী বিদ্যালয় ছুটির পর নৌকায় করে কর্ণফুলী নদী পার হচ্ছিল। এ সময় নৌকা ডুবে গেলে ছাত্রলীগের ওই তিন নেতা জীবনের মায়া ত্যাগ করে পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁদের অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেন। এরই স্বীকৃতিস্বরূপ জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে আজ তাঁদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাইফুল আলম রাশেদের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীংপকর তালুকার। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাঙামাটি পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজি সোলায়মান চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মনছুর আলী, জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সাইদুল। অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ চাকমা।

এতে বক্তব্য দেন কাপ্তাই উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সুমন, লংগদু উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জিয়াউল হক, রাঙামাটি সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম, রাজস্থলী উপজেলা ছাত্রলীগের অংসুই চিং মারমা বিজয়, নানিয়রচর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রিপন দাশ, কাউখালী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সজীব দত্ত, রাঙামাটি পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আলাউদ্দিন। এতে জেলার ১০ উপজেলা, কলেজ, শহর ও ওয়ার্ডের ছাত্রলীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে দীপংকর তালুকদার বলেন, ‘ছাত্রলীগের ভালো খবরগুলো কখনো পত্রপত্রিকায় আসে না। একটু খারাপ করলেই খবরগুলো বিশাল করে তুলে ধরা হয়। কাপ্তাই উপজেলা ছাত্রলীগের ছেলেরা যে সাহসী ভূমিকা রেখেছেন তা শুধু ছাত্রলীগের গর্ব না এটা গোটা আওয়ামী পরিবারের গর্ব। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত সব সাহসী কাজে ছাত্রলীগের ভূমিকা রয়েছে।’

দীপংকর তালুকদার আরো বলেন, ‘যেখানে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রদের হাতে বই তুলে দিয়েছেন, সেখানে অন্যদিকে বিএনপির নেত্রী আওয়ামী লীগকে ঘায়েল করতে ছাত্রদলই যথেষ্ট বলে মন্তব্য করেন। তাই সবাইকে বুঝতে হবে কারা ছাত্রদের জন্য কাজ করে।’