প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ হলেন সালাহ উদ্দিনের স্ত্রী

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদকে খুঁজে বের করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন তাঁর স্ত্রী হাসিনা আহমেদ। আজ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের কাছে এই স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন তিনি।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ৪ নম্বর গেটে যান সাবেক সংসদ সদস্য হাসিনা আহমেদ। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের কাছে স্মারকলিপির একটি কপি হস্তান্তর করেন তিনি।
স্মারকলিপি গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অফিস সহকারী আবদুল হামিদ।
এ সময় হাসিনা আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি আশা করি, উনিও একজন মা, উনিও একজন স্ত্রী; আমার মনের কষ্ট উনি বুঝবেন। এবং তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিবেন যে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেন অবিলম্বে আমার স্বামীকে জনসম্মুখে হাজির করে। আমাকে, আমার ছেলেমেয়েকে আশ্বস্ত করে।’
হাসিনা আহমেদের সঙ্গে ছিলেন সালাহ উদ্দিন আহমেদের বোন শামীম আরা জ্যোৎস্না। স্মারকলিপিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করারও আবেদন জানানো হয়েছে।
১০ মার্চ থেকে ‘নিখোঁজ’ রয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ। তাঁকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে তাঁর পরিবার ও দলটির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে।
তবে সালাহ উদ্দিন আহমেদকে আটক করা হয়নি বলে দাবি করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
সালাহ উদ্দিন আহমেদের সন্ধান চেয়ে ১১ মার্চ রাতে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে গুলশান ও উত্তরা পশ্চিম থানায় যান তাঁর স্ত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য হাসিনা আহমেদ। তবে কোনো থানাই তাঁর জিডি গ্রহণ করেনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই।’ এমনকি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার মাসুদুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের জানা নেই।’
এ ঘটনার পরের দিন বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানান, সালাহ উদ্দিন আহমেদ কোথায় আছেন বা তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন কি না, তা পরিষ্কার নয়। তদন্তের পরই এ বিষয়ে স্পষ্ট বলা যাবে।
১২ মার্চ হাসিনা আহমেদের করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদকে কেন খুঁজে বের করা হবে না এবং রোববার তাঁকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।