ঘটনাস্থলে যেতে হবে ডিসিদের

‘চাঞ্চল্যকর’ ও ‘লোমহর্ষক’ হত্যাকাণ্ড বা ‘বড়’ যেকোনো দুর্ঘটনাস্থলে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ঘটনাস্থল দ্রুত পরিদর্শন করে জেলা প্রশাসকরা (ডিসি) যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন। সেই সঙ্গে ঘটনার বিষয়ে প্রাথমিক তথ্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে অবহিত করবেন।
বিভাগীয় কমিশনারদের সমন্বয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদের সম্মেলন কক্ষে এ সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। গত ৩ মার্চ এ সভার কার্যবিবরণী তৈরি করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম স্বাক্ষরিত কার্যবিবরণীতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘সারা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে যে গত ডিসেম্বর মাস থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ২৭টি অপরাধ বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো কোনো জেলায় চাঞ্চল্যকর বা লোমহর্ষক ও বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলেও জেলা প্রশাসকরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন না। সভা এ ধরনের দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে স্বয়ং জেলা প্রশাসককে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক নির্ধারিত ছকে প্রতিবেদন প্রেরণের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে।’
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সভায় বেশ কিছু সিদ্ধান্ত হয়। এ বিষয়ে কার্যবিবরণীতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ‘জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা ফলপ্রসূভাবে করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে সময়োপযোগী উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। চাঞ্চল্যকর, লোমহর্ষক বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসককে দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হতে তাৎক্ষণিক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক নির্ধারিত ছকে প্রতিবেদন প্রেরণ করতে সকল জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশনা প্রদান করতে হবে।’
সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে বিলম্ব
কার্যপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ‘জেলা প্রশাসক সম্মেলন ২০১৫-এ গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসকগণ তাঁর জেলার বিষয়ে সিদ্ধান্তসমূহ সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রয়োজনীয় তথ্যাদিসহ পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব প্রেরণের জন্য গত বছর ১৪ অক্টোবর ৪১০ নম্বর স্মারকে নির্দেশনা দেওয়া হলেও অধিকাংশ জেলার জেলা প্রশাসকগণ এ বিষয়ে উদ্যোগী না হওয়ায় সিদ্ধান্তসমূহের বাস্তবায়ন বিলম্ব হচ্ছে।’