ঠিকাদারি, টেন্ডারবাজি ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ময়মনসিংহের দিঘারকান্দায় গুলিতে নিহত চালক ফিরোজ সরকার শিমুলের খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে।

আজ সোমবার দুপুরে শহরতলির কেওয়াটখালীতে ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ নিহতের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধন থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়। সেই সঙ্গে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়।

মানববন্ধনে অংশ নেন বয়রা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ইসমাইল হোসেন, মো. ওয়াহিদ ও মো. শাহাদৎ হোসেন, আকুয়া ইউপির সদস্য লাল মিয়া লালু, ময়মনসিংহ পৌরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোস্তফা ফারুক, ২১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সুনীল নারায়ণ, ২০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, ২০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ডা. সোবহান সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন ও ময়মনসিংহ শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল আউয়াল মিন্টু, সংরক্ষিত কাউন্সিলর ইসমত আরা।

এদিকে শিমুল হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুল ইসলাম জানান, আজ ভোরে শহরের ধোপাখোলা এলাকা থেকে স্বপন সরকার নামের এজাহারভুক্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

স্বপন সরকার জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সম্পাদক আবু মুছা সরকারের ছোট ভাই।

গত শনিবার রাত ১১টার দিকে ঠিকাদারি আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ভুট্টো ও সোহানপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও হামলার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান ফিরোজ সরকার শিমুল। এ সময় গুলিতে ও হামলায় নারীসহ আহত হন আরো তিনজন। এই ঘটনায় রোববার রাতে নিহতের মা রহিমা খাতুন আটক স্বপন সরকারসহ পাঁচজনকে আসামি করে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন।