রেলপথ অবরোধ করে ট্রেন আটকে রাখল ক্ষুব্ধ জনতা

বিভিন্ন দাবিতে ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ধলায় রেলপথ অবরোধ করে কয়েকটি মেইল ও লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় লোকজন।
আজ রোববার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত রেলপথ অবরোধ করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আজ সকাল থেকে ধলায় রেলপথ অবরোধ করে কয়েক হাজার লোক। তাঁদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—ধলা রেলস্টেশন আবার চালু করা, ঢাকা-ময়মনসিংহ পথে চলাচলকারী মহুয়া, কমিউটার এক-দুইসহ সব মেইল ট্রেনে যাত্রাবিরতি দেওয়া, বেসরকারি টিকেট কাউন্টার স্থাপন ও স্থায়ীভাবে স্টেশন মাস্টার দেওয়া।
সংক্ষুব্ধ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দাবি আদায়ে সকাল থেকে তাঁরা রেলপথে অবস্থান করেন। সেখানে কোনো ট্রেন আসার আগেই হাজার হাজার লোক রেলপথে অবস্থান নেন। তাঁরা ঢাকা থেকে ময়মনসিংহগামী এবং ময়মনসিংহ থেকে ঢাকাগামী প্রতিটি ট্রেনকে ২০ থেকে ৩০ মিনিট আটকে রাখেন।
স্থানীয়দের ওই অবরোধের ফলে ময়মনসিংহ থেকে ঢাকাগামী ট্রেন মহুয়া, ময়মনসিংহগামী বলাকা এক্সপ্রেস এবং কমিউটার এক ও দুই নম্বর ট্রেন নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেনি।
সংক্ষুবদ্ধ লোকজনের জমায়েতের অন্যতম সংগঠক ও বালিপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশিদ বলেন, ‘পয়লা ফেব্রুয়ারি হঠাৎ স্টেশন মাস্টার প্রত্যাহার ও স্টেশনটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে ট্রেনে চলাচলকারী যাত্রী ও ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। আমরা এলাকার রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ স্টেশন খুলে দেওয়াসহ ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে ঢাকা বিভাগীয় রেল ব্যবস্থাপকের কাছে আবেদন করেছি। সাড়া না পেয়ে অবরোধের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি।’
হারুনুর রশিদ আরো বলেন, ‘আগামী সাত দিনের মধ্যে আমাদের দাবি পূরণ না হলে নতুন কর্মসূচি প্রদান করা হবে।’
অবরোধ চলাকালে বক্তব্য দেন—স্থানীয় মৎস্য হ্যাচারি মালিক সমিতির সভাপতি জসিম উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক এম এ বাতেন, ত্রিশাল উপজেলা জাতীয় পার্টির (জাপা) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আজিমুদ্দিন, যুবলীগ নেতা মোখলেছুর রহমান শান্ত প্রমুখ।
অবরোধের খবর পেয়ে গফরগাঁও সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. বিল্লাল হোসেন, ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান পুলিশ সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। সেখানে পৌঁছে পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
সকাল সাড়ে ৯টার পর ট্রেন ও রেলপথ অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। এর পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।