ফ্লাডলাইটের আলোয় ছড়াল মুগ্ধতা

শহরের মোড়ে মোড়ে বিশাল তোরণ। নিয়ন আলো আর রঙিন ব্যানার ও ফেস্টুনে খুলনা সেজেছে নতুন রূপে। তবে সন্ধ্যার পর ফ্লাডলাইটের আলোয় গ্যালারিতে ছিল অন্য রকম মুগ্ধতা।
আজ শুক্রবার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়াম সেজেছিল অন্য রকম সাজে। বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের মধ্যকার টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে স্টেডিয়ামের সাজসজ্জাও ছিল নজরকাড়া। আর দিবারাত্রির ম্যাচ থাকার কারণে সন্ধ্যার পর ফ্লাডলাইটের আলো আর কুয়াশা মিলে অসাধারণ আবহের সৃষ্টি হয় এই স্টেডিয়ামে।
দুপুরের পর থেকেই শহরের মূল জনস্রোত ছিল স্টেডিয়ামমুখী। হাতে ও গালে আলপনা এঁকে দর্শকরা ভিড় জমান গ্যালারিতে। তবে টিকেটস্বল্পতার কারণে মাঠে বসে খেলা না দেখতে পাওয়ার হতাশা নিয়ে অনেককেই দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় স্টেডিয়ামের সামনের সড়কে।
বিকেল ৪টায় জিম্বাবুয়ের ইনিংসের যখন অর্ধেক সময় পেরিয়ে গেছে, তখনো মূল গেটের বাইরে কয়েক হাজার দর্শকের ভিড়। দর্শকের অপেক্ষা একসময় রূপ নেয় সীমাহীন ক্ষোভে। সোয়া ৪টার দিকে তিন নম্বর গেটের সামনে বাঁশের ভেড়া ভেঙে ফেলেন দর্শকরা। হুড়মুড় করে স্টেডিয়ামে ঢোকার চেষ্টা করতে গিয়ে আহত হন বেশ কয়েকজন। বেশ কয়েকজন চেষ্টা করেছেন স্টেডিয়ামের সীমানাপ্রাচীর টপকে ভেতরে যাওয়ার। কিন্তু বিধি বাম! পুলিশ ছিল কঠিন প্রহরায়।
আর গ্যালারি ছিল কানায় কানায় পরিপূর্ণ। সন্ধ্যায় খোলা আকাশের নিচে শীতের কুয়াশা গায়ে মেখেও দর্শকরা মেতে ছিলেন উৎসবের রঙে। কলেজছাত্রী আফরোজা ইয়াসমীন বলেন, ‘মাঠে বসে মজা করে সবাই একসাথে খেলা দেখব বলে এসেছি। খেলা দেখতে দেখতে বন্ধুদের সাথে মজা করেছি, বেশ ভালো লাগছে।’ গ্যালারিভর্তি দর্শক দেখে উচ্ছ্বসিত প্রবীণ স্কুলশিক্ষক হায়দার হোসেন। তিনি বলেন, দিবা-রাত্রির ম্যাচে ফ্লাডলাইটের আলো অন্য রকম স্বপ্নিল পরিবেশ তৈরি করেছে। অন্ধকার আকাশের বিপরীতে মোবাইল ফোনের আলো ‘জোনাকি পোকা’র মতো দর্শকে পরিপূর্ণ স্টেডিয়াম মুগ্ধতা ছড়িয়েছে।’