মতিঝিল-পল্টনজুড়ে আ.লীগের অবস্থান

আজ ৫ জানুয়ারি ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ উদযাপন করতে রাজধানীর দুটি স্থানে সমাবেশ করতে আওয়ামী লীগকে অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। বঙ্গবন্ধু এভিনিউ ও রাসেল স্কয়ার এই সমাবেশের জন্য নির্ধারিত। তবে রাজধানীর আরো বেশ কিছু স্থানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অবস্থান নিতে দেখা গেছে। অসংখ্য গাড়ি নিয়ে শোভাযাত্রাও করছেন দলটির নেতাকর্মীরা।
আজ মঙ্গলবার দুপুরের দিকে পল্টন, প্রেসক্লাবসহ মতিঝিল ও দৈনিক বাংলা এলাকায় ছোট ছোট দলে অবস্থান করতে দেখা যায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের।
দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকায় ৫০টির বেশি পিকআপ ভ্যান নিয়ে শোভাযাত্রা ও মানববন্ধন করেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। এ সময় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে কামরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা গণতন্ত্র ধরে রেখেছি। খালেদা জিয়ার ওপর পাকবাহিনীর দোসররা চেপে বসে আছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নস্যাৎ করতে তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর সৈনিকরা তাদের উদ্দেশ্য সফল হতে দেবে না। গণতন্ত্র রক্ষায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা একজন প্রহরীর মতো কাজ করছে। যদি কোনো ব্যক্তি গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করার চেষ্টা চালায়, তবে আমরা বসে থাকব না। কঠোর হাতে সেই চেষ্টা দমন করা হবে।’
এরপর প্রজন্ম লীগ ও আওয়ামী প্রচার লীগের ব্যানারে আলাদা আলাদা শোভাযাত্রা বের করা হয়। প্রজন্ম লীগের শোভাযাত্রার নেতৃত্ব দেন কামরুল ইসলাম এবং আওয়ামী প্রচার লীগের শোভাযাত্রার নেতৃত্ব দেন ড. হাছান মাহমুদ। এসব শোভাযাত্রার কারণে সংশ্লিষ্ট এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
শোভাযাত্রার মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ শেষে মতিঝিল, দৈনিক বাংলা মোড়, পুরানা পল্টন, বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেট, প্রেসক্লাব, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান ফটক, কদম ফোয়ারা, সুপ্রিম কোর্টের মাজার গেটে খণ্ড খণ্ড দলে ভাগ হয়ে অবস্থান নেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় তাদের আশপাশে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদেরও দেখা গেছে।
প্রসঙ্গত, যেসব শর্তে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ আওয়ামী লীগকে সমাবেশ করার শর্ত দিয়েছে, সেগুলো হলো—১. মিছিল করে সমাবেশে আসা যাবে না, ২. ফেস্টুন-ব্যানারের আড়ালে লাঠি বা প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করা যাবে না, ৩. রাস্তা অবরোধ করে যানজট সৃষ্টি করা যাবে না, ৪. ডিএমপির নির্ধারিত সীমানার মধ্যেই সমাবেশ সীমাবদ্ধ রাখতে হবে এবং ৫. মাগরিবের নামাজের আগেই সমাবেশ শেষ করতে হবে।