আলোকিত হলো কলসিন্দুরসহ নয়টি গ্রাম

ময়মনসিংহের ধোবাউড়া অবহেলিত এক জনপদ। সেই জনপদের কলসিন্দুর গ্রাম এখন নারী ফুটবলার তৈরির সূতিকাগার হিসেবে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে পরিচিতি পেয়েছে বিশ্বদরবারে। এবার এই কলসিন্দুরসহ এর আশপাশের নয়টি গ্রাম আলোকিত হলো। এই গ্রামগুলোর ৮০৩টি পরিবারে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে।
আজ শনিবার দুপুরে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এই বিদ্যুতায়নের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিন, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মইন উদ্দিন, কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক। কলসিন্দুর গ্রামে প্রায় ১৫ কিলোমিটার বিদ্যুতায়নে খরচ হয়েছে প্রায় দুই কোটি টাকা।
নসরুল হামিদ বলেন, ‘২০১৮ সালের মধ্যে দেশ মধ্যম আয়ের দেশ হবে, আলোকিত হবে সারা দেশ। এ জন্য বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় ২৪ ঘণ্টা কাজ করছে, ছুটি নেই। বাংলাদেশের নারী/বালিকা ফুটবলাররা বাংলাদেশকে স্বপ্ন দেখাচ্ছে। এ জন্য আরো আলো দরকার। আগামী দুই বছরের মধ্যে এই এলাকায় ৯০০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ পৌঁছাতে হবে।’
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘কলসিন্দুরের ফুটবলারদের সম্মানে এখানে একটি স্টেডিয়াম হবে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা উদ্বোধন করবেন। এই প্রথমবার সারা দেশে ৪৪ লাখ ঘরে সোলার দেওয়া হয়েছে। সাড়ে তিন লাখ সেচপাম্প দেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে সবাইকে সোলার দেওয়া হবে, যাতে বিদ্যুৎ খরচ কম হয়।’
কলসিন্দুরের মেয়ে ফুটবলারদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন অন্য একটি বাংলাদেশ। এখন আধুনিক বাংলাদেশের জন্য যুদ্ধ চলছে, আমাদের ফুটবলাররা সেই যুদ্ধ করছে। এই যুদ্ধে বাংলাদেশ হবে একটি উন্নত নতুন বাংলাদেশ।’
নেপালে কলসিন্দুরের মেয়েরা জিতে নিয়েছে ২০১৫ সালের এএফসি অনূর্ধ্ব-১৪ আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা।