খাগড়াছড়িতে আ.লীগ থেকে ১৭ নেতাকে বহিষ্কার

খাগড়াছড়ি পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থীর বিরোধিতা করে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় ১৭ নেতা-কর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাতজন ও পৌর আওয়ামী লীগের ১০ নেতা রয়েছেন।
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগে পাঠানো বহিষ্কার সংক্রান্ত চিঠিতে সুপারিশ করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও পৌরসভা নির্বাচন কমিটির আহ্বায়ক রণ বিক্রম ত্রিপুরা।
সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার দে ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের ৪৬ (ঠ) ধারা অনুযায়ী ১৭ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন সহসভাপতি আবদুল মোতালেব পিসি, সাংগঠনিক সম্পাদক মোসলেম উদ্দিন, কৃষিবিষয়ক সম্পাদক আবদুল লতিফ, সদস্য হজরত আলী, মো. সোলায়মান, দিদারুল আলম ও মো. নূর নবী।
পৌর আওয়ামী লীগে বহিষ্কৃতরা হলেন সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর, সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. নাসির, সদস্য মো. রাশেদ, মো. কালাম, মো. ছাত্তার ও মো. মাহাবুব, ৩ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির সাধারণ সম্পাদক স্বপন দে, সাবেক সহসভাপতি মো আবু মিয়া ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নাসির।
অপরদিকে জেলা আওয়ামী লীগের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, জেলা আওয়ামী লীগের বড় পদের কয়েকজন পদস্থ নেতা সহসাই আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার হতে যাচ্ছেন। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের ও দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ এ বিষয়ে মৌখিক নির্দেশনা দিয়েছেন এবং এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
আজ শনিবার সকালে খাগড়াছড়ি অফিসার্স ক্লাবে আরটিভির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শেষে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা সাংবাদিকদের জানান, যারা দলের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন কেন্দ্রীয় নির্দেশনা এবং গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাঁরা অটোমেটিক বহিষ্কার।
এর আগে যুবলীগ ও কৃষক লীগের সাত নেতা-কর্মীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
২৪ ডিসেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সংবাদ ব্রিফিংয়ে জেলা যুবলীগের সভাপতি যতন কুমার ত্রিপুরা বলেন, পৌর নির্বাচনে নৌকা মার্কার বিপক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালানো এবং দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে জেলা যুবলীগ ও কৃষক লীগের সাত নেতা-কর্মীকে দল থেকে বহিষ্কার করার সুপারিশ করা হয়েছে। যুবলীগের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল খাগড়াছড়িতে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে এসে তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছেন। খুব সহসাই তাঁদের আনুষ্ঠানিকভাবে বহিষ্কারের ঘোষণা দেওয়া হবে।
যাদের বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে তাঁরা হলেন, জেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক আবদুর রব, সহ-অর্থ সম্পাদক ফরিদুল ইসলাম, সদস্য আবুল কালাম আজাদ সবুজ, বোরহান উদ্দিন, সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন টিটু, সহসভাপতি সবুজ দে এবং কৃষক লীগের আহ্বায়ক আবুল কাশেম।