আইএসের ‘সমন্বয়ক’সহ চারজনের অভিযোগ গঠন কাল

ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সন্দেহভাজন সমন্বয়ক সাখাওয়াতুল কবীরসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি আগামীকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে গত ১৫ অক্টোবর ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রুহুল আমিনের আদালতে এ মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ ছিল। কিন্তু ওই দিন এ মামলায় সাখাওয়াতুল কবিরসহ চারজনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করতে না পারায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অভিযোগ গঠন পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন।
গত ১৫ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) পরিদর্শক এ কে এম কামরুল আহসান ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। গত ৬ জুলাই ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ অভিযোগপত্রটি গ্রহণ করেন।
সাখাওয়াতুল কবীর ছাড়া বাকি তিন আসামি হলেন আনোয়ার হোসেন, মো. রবিউল ইসলাম ও নজরুল ইসলাম। আসামিরা সবাই কারাগারে আছেন।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, ‘আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ জব্দ করা আলামত, সাক্ষ্য-প্রমাণে প্রমাণিত হয়েছে যে, উল্লিখিত আসামিরা বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) সক্রিয় সদস্য। এক নম্বর আসামি সাখায়াতুল জেএমবির আঞ্চলিক সমন্বয়ক। তিনি পাকিস্তান থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে জেএমবির পাশাপাশি আইএসআইএসের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁরা জেএমবি ও আইএসের মতাদর্শে উজ্জীবিত হয়ে পরস্পর যোগসাজশে খিলাফত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য গোপনে বিভিন্ন ভিডিও প্রদর্শন এবং জিহাদি লিফলেট বিতরণ করেছেন।’
আরো বলা হয়েছে, ‘আসামিদের বিরুদ্ধে গোপনে অর্থ ও কর্মী সংগ্রহ, দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে হত্যার পরিকল্পনা, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনার মাধ্যমে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানো, দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার ওপর হামলা করে ক্ষতিসাধন ও হুমকির সৃষ্টি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য অর্থ সংগ্রহ ও যোগদানের অপরাধ প্রাথমিকভাবে সত্য প্রমাণিত হয়েছে।’
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১৮ জানুয়ারি যাত্রাবাড়ী থানার খানবাড়ী চৌরাস্তায় মৃত মো. খানের বাড়িতে জেএমবির আঞ্চলিক সমন্বয়ক সাখায়াতুল আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আইএসের নির্দেশনা মোতাবেক সদস্য সংগ্রহের জন্য গোপনে বৈঠক করছিলেন। ওই বাসা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর কাছ থেকে আপত্তিকর প্রচারপত্র, তাঁর ল্যাপটপে আইএস -সংক্রান্ত প্রচুর ভিডিও জব্দ করা হয়।
গত ১৮ জানুয়ারি যাত্রাবাড়ী থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ৬ (১) (ক) ৭, ৮, ৯, ১১ ও ১৩ ধারায় মামলাটি করেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক মো. নজরুল ইসলাম।