ভৈরবে জেলেদের মধ্যে ভিজিএফের চাল বিতরণ

ইলিশ মাছ ধরা, বিক্রি, মজুদ ও পরিবহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করায় কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় ৬৯৯টি জেলে পরিবারের মধ্যে ২০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার ভৈরব পৌর এলাকাসহ ছয় ইউনিয়নের কার্ডধারী জেলে পরিবারের মধ্যে বিশেষ কর্মসূচির আওতায় এই চাল বিতরণ করা হয়।
ভৈরবে তিন হাজার ৩৫ জন কার্ডধারী জেলে থাকলেও এ বছর ৬৯৯টি ইলিশ মাছ শিকারি জেলে পরিবার ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ সময়ের জন্য ২০ কেজি চাল করে পেলেন।
উপজেলার কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়নে ইলিশ মাছ শিকারি জেলে পরিবারের বসবাস না থাকায় এই বিশেষ বরাদ্দ থেকে ওই এলাকার জেলেরা বাদ পড়েছেন বলে জানিয়েছেন জ্যেষ্ঠ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. লতিফুর রহমান। তিনি জানান, মৎস্য অধিদপ্তর ঘোষিত এই নিষিদ্ধ সময়ে মা ইলিশ মাছ শিকার না করার শর্তে উপজেলার পৌর এলাকার ১৬২টি, সাদেকপুর ইউনিয়নে ১১০টি, আগানগর ইউনিয়নে ২০৭টি, শিমূলকান্দি ইউনিয়নে ৫০টি, গজারিয়া ইউনিয়নে ৮০টি, শিবপুর ইউনিয়নে ২৮টি ও শ্রীনগর ইউনিয়নের ৬২টি কার্ডধারী জেলে পরিবারের মধ্যে বিনামূল্যে খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ২০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়।
ভৈরব পৌরসভা চত্বরে জ্যেষ্ঠ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. লতিফুর রহমানের উপস্থিতিতে পৌরসভার মেয়র, মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ফখরুল আলম আক্কাছ পৌর এলাকার জেলেদের মধ্যে এই চাল বিতরণ করেন। এ সময় পৌরসভার কাউন্সিলর আরেফিন জালাল রাজীব, জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রকৌশলী জিএম আরিফ সারোয়ার বাতেন ও মৎস্য অফিসের সহকারী মো. মাহবুবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে একই সময়ে সাদেকপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. সাফায়েত উল্লাহ, আগানগর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোমতাজ উদ্দিন, শিমূলকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান জুবায়ের আলম দানিছ, গজারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান হাজি গোলাম সারোয়ার গোলাপ, শিবপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম ও শ্রীনগর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবু তাহের নিজ নিজ ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে বরাদ্দপ্রাপ্ত এসব জেলের মধ্যে চাল বিতরণ করেন। এ সময় ভৈরব মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের ওয়ার্ড সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
চাল পাওয়ার পর পৌর এলাকার জেলে হিরা মিয়া, মনমোহন ধর ও মোবারক মিয়া, আগানগর ইউনিয়নের বিমল বর্মণ ও ফালু বর্মণ এবং সাদেকপুরের ধনু দাস ও নীলেশ চন্দ্র দাস জানান, বরাদ্দ করা চাল মাছ ধরা বন্ধের শুরুতে পেলে তাদের জন্য ভালো হতো। এ ছাড়া একটি পরিবারের খাদ্য চাহিদা ২০ কেজি চালে সম্ভব নয়। আর শুধু চাল দিয়েই একটি পরিবার চলে না। যেহেতু এই দীর্ঘ সময় নদীতে জাল ফেলা যাবে না, তাই তাদের পরিবারের সব চাহিদার বিষয়গুলো বিবেচনা করার দাবি তাদের।