ফরিদপুরে স্কুলছাত্রী হত্যা মামলায় চারজনের মৃত্যুদণ্ড

ফরিদপুরে নবম শ্রেণির ছাত্রী জাকিয়া আক্তার চম্পা হত্যা মামলায় চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ধর্ষণের অপরাধে এ চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশও দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ৪-এর বিচারক আবদুর রহমান সরদার এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন শামীম মণ্ডল, মো. বাবুল হোসেন ওরফে রাজীব হোসেন ওরফে বাবু হোসেন মাতুব্বর (পলাতক), জাহিদুল হাসান ওরফে জাহিদ হাসান ও আকাশ মণ্ডল (পলাতক)।
রায়ে হত্যার জন্য আসামিদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া রাষ্ট্রপক্ষ কোনো অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারায় অপর আসামি মৌসুমীকে খালাস দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ধর্ষণের অভিযোগে তাঁদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১২ সালের ১৩ ডিসেম্বর ফরিদপুরের কাশেমাবাদ গ্রামের এক আত্মীয়ের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান থেকে চম্পাকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ ও হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ১৪ ডিসেম্বর ওই এলাকার পার্শ্ববর্তী একটি বাগানে ঝুলন্ত অবস্থায় চম্পার মরদেহ পাওয়া যায়।
নথিতে আরো বলা হয়, বিয়ে করতে না পারায় আসামি শামীম মণ্ডল অন্য আসামিদের সহায়তায় চম্পাকে হত্যা করে।
চম্পা কানাইপুর পুরদিয়া হাইস্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়ত। এ ঘটনায় ২০১২ সালের ১৫ ডিসেম্বর ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন চম্পার ভাই হাসিবুল ইসলাম।
মামলাটি তদন্তের পর ২০১৩ সালের ২০ মে কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল খায়ের শেখ এ আসামিদের বিরুদ্ধে ফরিদপুরের মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলাটি গুরুত্বপূর্ণ ও চাঞ্চল্যকর বিবেচনায় ২০১৪ সালে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ৪-এ বিচারের জন্য বদলি হয়ে আসে। পরবর্তী সময়ে ১১ নভেম্বর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। রায়ের আগে ৩০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন করেছেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মো. মাহফুজুর রহমান লিখন। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট কাজী আসহানউল্লাহ।