পেট্রলবোমায় মানুষ মারা যাওয়ার সময় টিআইবি চুপ ছিল

জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ বলেন, ‘ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) মতো সংস্থা আমাদের বিরুদ্ধে কথা বলেছে। তাদের আমরা আসতে বলেছিলাম, তাঁরা এসেছিলও। কিন্তু গিয়ে আমাদের কথিত বিরোধী দল বলছে। গত নির্বাচনের আগে যখন দেশের রাজনীতিবিদ ও জনগণকে হয়রানি করা হচ্ছিল, হরতাল, অবরোধ, পেট্রলবোমায় মানুষকে মারা হচ্ছিল তখন তো তারা কোনো কথা বলেনি। তারা চুপ ছিল।’
আজ সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনে দশম সংসদের অষ্টম অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে আলোচনায় এ কথা বলেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা।
রওশন এরশাদ বলেন, ‘দেশে যখন দুজন বিদেশিকে হত্যা করা হয়েছে এবং তাজিয়া মিছিলে বোমা মারা হয়; ঠিক এ সময় টিআইবির মতো একটি বিদেশি সংস্থা একটি রিপোর্ট দিল। তাঁদের কর্মকাণ্ড হলো জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা ও দুনীতিমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। কিন্তু সেখানে তারা দশম জাতীয় সংসদকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। নতুন নির্বাচন দাবি করছে। সেটা কতটুকু সংবিধান সম্মত? তাদের কর্মক্ষেত্রের বাহিরে কেন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে?’
রওশন এরশাদ বলেন, ‘যখন সংসদে বিরোধী দলের সদস্যরা ফাইল ছোড়াছুড়ি করেছিল, নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে অকথ্য ভাষায় বর্ণনা করেছিল। এমনকি তারা প্রয়াত নেতাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে ছাড়েনি। কিন্তু সেখানে আমরা যখন বিরোধী দলের দায়িত্ব পালন করেছি তখন সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করছি, জনগণের সমস্যার কথা বিস্তারিত বলছি। খাদ্যে ভেজাল নিয়ে সংসদে সোচ্চার ছিলাম। আর সে প্রেক্ষাপটে খাদ্যে ভেজালবিরোধী আইনও পাস করেছে সরকার। সে আইনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিনিয়ত ভেজালবিরোধী অভিযান চলছে। সেখানে আমাদের কথিত বিরোধী দল বলা কতটুকু সমীচীন হয়েছে সেটাই প্রশ্ন?’
বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, ‘আমরা জানি প্রজাতন্ত্রের সব ক্ষমতার অংশ জনগণ। আর জনগণের প্রতিনিধিরাই সংসদে প্রতিনিধত্ব করছে। তাই প্রকারান্তে জনগণকেই হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে। গত নির্বাচনের প্রতিটি দলকে অংশগ্রহণ করতে বলা হয়েছিল। বলা হয়েছিল সর্বদলীয় সরকার গঠনের। সেখানে অনেক দল এসেছিল, আবার কিছু দল আসেনি। যারা আসেনি তাদের জন্য সংবিধান, দেশ ও নির্বাচন বসে থাকবে না। নির্বাচন হয়েছে।’
রওশন এরশাদ বলেন, ‘টিআইবি একটি বড় সংগঠন। এখানে অনেক শিক্ষিত ব্যক্তি রয়েছেন। তাঁরা কী করে এমন উক্তি করেন? তাঁদের বলব, আপনারা সংসদের সব কর্মকাণ্ড খতিয়ে দেখেন।’