শিক্ষক সুরেন্দ্র মোহন রায়ের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ শনিবার। এই উপলক্ষে পরিবারের পক্ষ থেকে মা‌নিকগঞ্জ জেলা সদরের বিভিন্ন শিক্ষার্থীর মধ্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়।

আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ বেলা ১১টার দিকে জেলা শহরের বাজার ব্রিজের পাশে স্যাক মিলনায়তনে শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন পৌর মেয়র গাজী কামরুল হুদা সেলিম, খান বাহাদুর আওলাদ হোসেন খান ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মীর মোখসেদুল আলম, সমাজকর্মী ও রাজনৈতিক ব্যা‌ক্তিত্ব দীপক কুমার ঘোষ, প্রথম আলোর সাংবা‌দিক আবদুল মোমিন, প্রয়াত শিক্ষকের বড় ছেলে নীল কমল রায় ও ছোট ছেলে বিমল রায়, বেসরকারি গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠান বারসিকের জেলা শাখার কর্মকর্তা রাশেদা আক্তারসহ অনেকেই।

মেয়র গাজী কামরুল হুদা সেলিম বলেন, শিক্ষক সুরেন্দ্র মোহন রায় ছিলেন মানুষ গড়ার প্রকৃত কারিগর। তিনি একজন আদর্শবান শিক্ষক। একজন শিক্ষকের যে সব গুণাবলী ও যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন, তার সবগুলোই সুরেন্দ্র মোহন রায়ের মধ্যে প্রতিফলিত হয়েছিল।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উদ্দেশে সাংবাদিক আবদুল মোমিন বলেন, শিক্ষা মানুষকে মানবিক হিসেবে গড়ে তোলে। আজকের শিশু-কিশোরেরা আগামীর মানবিক দেশ গড়বে। একজন সুশিক্ষিত সন্তান শুধু পরিবারেরই সম্পদ নয়, পুরো রাষ্ট্রের সম্পদ। কাজেই সন্তানদের পড়ালেখা এবং নৈতিক শিক্ষার বিষয়ে অভিভাবকদের সচেতন এবং যত্নবান হতে হবে।

শিক্ষক সুরেন্দ্র মোহন রায় অবসরের আগে সদর উপজেলার পুটাইল ইউনিয়নের লেমুবাড়ী উচ্চবিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন। এর আগে তিনি বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। সমাজে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে তাঁর অবদান ছিল উল্লেখযোগ্য।

সুরেন্দ্র মোহন রায়ের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর পরিবার শিক্ষার্থীদের মধ্যে খাতা ও কলম বিতরণ করেন। জেলা সদরের বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দরিদ্র ও মেধাবী ৫০ জন শিক্ষার্থীকে এই শিক্ষা উপকরণ দেওয়া হয়।