ইউজিসির সহকারী পরিচালকসহ তিনজন ফের রিমান্ডে

ভর্তি ও নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং পরীক্ষার্থীকে উত্তর জানানোর অভিযোগে আটক বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সহকারী পরিচালক ওমর সিরাজসহ তিনজনকে ফের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ তাঁদের হাজির করে সাতদিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম স্নিগ্ধা চক্রবর্তী তাঁদের দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর একই বিচারক তাঁদের দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডে যাওয়া অন্যরা হলেন রেজাউল করিম (৩২) ও ঈশান ইমতিয়াজ হৃদয় (২২)।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইউজিসি ভবনের দ্বিতীয় তলায় অভিযান চালিয়ে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা, কৃষি ব্যাংকের অফিসার নিয়োগ, জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের সহকারী জজ নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তর সরবরাহ করার অভিযোগে তিনজনকে আটক করে র্যাব-৪।
র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান জানান, আটকের সময় তাঁদের কাছ থেকে জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের ২০১৪ সালের সহকারী জজ নিয়োগ পরীক্ষার উত্তরপত্র ২৩টি, একই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র দুটি, দুই লাখ টাকা, এক্সিম ব্যাংকের চার লাখ টাকার একটি চেক, বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের সিল, বিভিন্ন ব্যাংকের চেকবই, তিনটি মোবাইল ও একটি আইপ্যাড উদ্ধার করা হয়।
মুফতি মাহমুদ খান জানান, আটক ঈশান ২০১০ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পর থেকেই এবং বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের স্টোরকিপার রেজাউল চাকরি পাওয়ার পর থেকেই এ কাজ করে আসছিলেন। ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের সহকারী পরিচালক ওমর সিরাজের স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের সহকারী জজ নিয়োগের উত্তরপত্রটিও কৌশলে বের করে পুনরায় জমা করার জন্য তাঁর কাছে ছিল। চক্রটি প্রতি পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ক্ষেত্রে ১৫ লাখ, কৃষি ব্যাংকের অফিসার নিয়োগের জন্য ছয় লাখ এবং জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের সহকারী জজ নিয়োগের জন্য ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত চেক অথবা নগদ টাকা নিত বলেও জানান কমান্ডার মুফতি মাহমুদ।
গ্রেপ্তারের পর ওমর সিরাজকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে।