আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-১১ (ভালুকা) আসনে নৌকা প্রতীকে প্রার্থিতা চান ভালুকা উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক মনিরা সুলতানা মনি।

১৯৯১ সালে ছাত্রলীগের সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া মনিরা সুলতানা মনি
এনটিভি অনলাইনকে জানান, ছাত্রজীবন থেকেই তিনি ভালুকা আসনে জাতীয় নির্বাচনসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন নির্বাচনগুলোতে দলের প্রার্থীর পক্ষে সক্রিয় ছিলেন। নিজে দুবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

মনিরা সুলতানা মনি আশির দশকে বাবার হাত ধরে ছাত্রলীগের সক্রিয় রাজনীতিতে পা দেন। মনির বাবা ছিলেন গণপরিষদ সদস্য মোস্তাফা এম এ মতিন। ১৯৭৩ সালে তিনি ভালুকা আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত মোস্তাফা এম এ মতিন একজন ভাষাসৈনিকও ছিলেন।

এ ছাড়া মোস্তাফা এম এ মতিন ছিলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের পরিচালক। দুই মেয়াদে ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতিও ছিলেন তিনি।

শিক্ষাজীবনে ময়মনসিংহ মুমিনুন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজে ১৯৯১ সালে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন আওয়ামী লীগের এই নারী নেত্রী। ১৯৯২ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত টানা তিনবার ছিলেন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি। একই কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি ছিলেন ১৯৯৬ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত। ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের ছাত্রীবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন তিনবার, একবার ছিলেন সদস্য। এরপর ২০০৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত টানা ১৫ বছর জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

মনিরা সুলতানা মনি ২০০৯ সালের নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে ভালুকা উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। দ্বিতীয়বার ২০১৪ সালেও বিপুল ভোটে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি।

ভাইস চেয়ারম্যান হওয়ার সুবাদে উপজেলার অনুন্নত এলাকায় রাস্তা, ড্রেন, কালভার্ট, স্কুল, মাদ্রাসা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে তাঁর হাতের মাধ্যমে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে বলে দাবি করেন এই আওয়ামী লীগ নেত্রী। মনি বলেন, দুবার ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে এলাকার উন্নয়নে সাধ্যমতো সবকিছু করেছি।

উন্নয়নমূলক কাজ এবং তাঁর প্রয়াত বাবার ক্লিন ইমেজ, সব মিলিয়ে স্বতন্ত্র ভাবমূর্তিও তৈরি হয়েছে মনির, এমন কথা বলেছেন তার দলীয় কর্মী-সর্মথকরা।