বিএনপির গণঅনশন শেষ, মান্নার সংহতি

বিএনপির গণঅনশনে সংহতি প্রকাশ করেছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, ‘আজ যে সংলাপ হবে, এ সংলাপ নিয়ে কোনো ধান্ধা চলবে না।’
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের মামলায় সাজা বাড়ানো ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় সাজা দেওয়ার প্রতিবাদে ওই কর্মসূচি দেয় বিএনপি।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে ওই কর্মসূচি শুরু হয়। কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিকেল ৩টার কিছু পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে পানি খাইয়ে অনশন ভাঙান। পরে তিনি একে একে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাসসহ অন্য নেতাদের শরবত পান করান।
কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপ হবে। সেখানে সাত দফা দাবি পেশ করা হবে। সংলাপ নিয়ে ধান্ধাবাজি আর তার পরে নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন আর চলবে না।’
মান্না বলেন, ‘যত নির্যাতন হোক, সবকিছুর প্রতিবাদ করে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হবে। আগামী নির্বাচনের আগে নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন ও গ্রেপ্তার বন্ধ করতে হবে। বন্ধ না করা পর্যন্ত দেশে নির্বাচন হবে না।’
মান্না আরো বলেন, ‘বর্তমান সরকার চায় আমরা যাতে নির্বাচনে না আসি। কিন্তু আমরা নির্বাচনে যাব নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে এবং লড়াই করে জিতব।’
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘সরকারের সিদ্ধান্তে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় দেশে অস্বাভাবিক পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এ অবস্থা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। খালেদা জিয়াকে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে মুক্ত করা ছাড়া কোনো উপায় নেই।’ তিনি বলেন, ‘তরুণ-তরুণীদের আন্দোলনের জন্য যে প্রস্তুতি রয়েছে, তার চেয়ে তিন-চার গুণ প্রস্তুতি নিয়ে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।’
গণঅনশনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন চাই।’
কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আজম খান, মো. শাহজাহান, বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, আমান উল্লাহ আমান, আতাউর রহমান ঢালী, আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, এমরান সালেহ প্রিন্স, শামা ওবায়েদ, সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নূরে আরা সাফা, সহমহিলাবিষয়ক সম্পাদক আফরোজা আব্বাস, শিক্ষাবিষয়ক সহসম্পাদক হেলেন জেরিন খান, সহ-জলবায়ুবিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবলু, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার প্রমুখ।
এ ছাড়া কর্মসূচিতে ছিলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, জাগপার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান।
গণঅনশনে বিএনপি এবং বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল, শ্রমিক দল, কৃষক দল, ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিট ও শাখার হাজার হাজার নেতাকর্মী-সমর্থক যোগ দিয়েছেন।