সরকার গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে তছনছ করে ফেলছে : খালেদা জিয়া

সরকার নিজেদের ক্ষমতা সংহত করতে গিয়ে দেশের সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে তছনছ করে ফেলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি একতরফা ভোটারবিহীন নির্বাচনে গঠিত সরকার নিজেদের ক্ষমতাকে সংহত করতে গিয়ে দেশের সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে তছনছ করে ফেলেছে। তাদের দুঃশাসনের কবলে জাতি আজ পিষ্ট।’
আজ বুধবার বিএনপির মুখপাত্র ও আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী এ সব কথা বলেন। দলের প্রবীণ নেতা এম কে আনোয়ারকে কারাগারে পাঠানো এবং শওকত মাহমুদকে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানানো হয় এ বিবৃতিতে।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘উচ্চ আদালত থেকে জামিন লাভের পরও, আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ৮৬ বছর বয়স্ক প্রবীণ নেতা এম কে আনোয়ার যখন কুমিল্লায় একটি স্থানীয় ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্য মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন- তখন তাঁর জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর ঘটনা আমাদের মর্মাহত করেছে। দেশের একজন সম্মানিত প্রবীণ নেতার প্রতি সরকারের এই আচরণ চরম অমানবিক, অসহিষ্ণুতার প্রমাণ ও ক্ষমতার অপব্যবহার ছাড়া আর কিছুই নয়।’
বিবৃতিতে খালেদা জিয়া অভিযোগ করেন, জাতীয় প্রেসক্লাবকে দলীয়করণ করার প্রতিবাদ করায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদকে।
দমন নিপীড়ন চালিয়ে মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকার যে দিবাস্বপ্ন দেখছে তাতে সরকার ক্রমেই জনগণের ঘৃণার পাত্রে পরিণত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
বিবৃতিতে আটক নেতাদের মুক্তির দাবি জানান খালেদা জিয়া। দেশকে চরম রাজনৈতিক সঙ্কটের হাত থেকে বাঁচাতে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সব দলের অংশগ্রহণে দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার আহ্বানও জানান সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী।
বিএনপি চেয়ারপারসন আরো বলেন, ‘দেশে যে চরম রাজনৈতিক সঙ্কট বিরাজ করছে- সেখান থেকে দেশ ও জাতিকে বাঁচাতে সকল দলের অংশ গ্রহণে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। সরকার আমাদের পুনঃ পুনঃ উত্থাপিত দাবির প্রতি কর্ণপাত না করায় জাতি ক্ষুব্ধ। জনগণের আকাঙ্ক্ষার কথা সরকার পড়তে ব্যর্থ হচ্ছে।’