ছেলে নয়, মেয়ে নবজাতকই ফিরল মায়ের কোলে

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগ থেকে নবজাতক চুরির ঘটনাটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষার পর মেয়ে সন্তানই ফিরেছে মায়ের কোলে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নবজাতককে তাঁর পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
নবজাতককে তার মায়ের কাছে হস্তান্তর করেন হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের (মমেক) অধ্যক্ষ মো. আনোয়ার হোসেন ও হাসপাতালের উপপরিচালক লক্ষ্মী নারায়ণ দাস।
এ বিষয়ে শিশু বিভাগের প্রধান ও মমেকের অধ্যক্ষ মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, বাচ্চা বদলের অভিযোগ ওঠার পর ডিএনএ পরীক্ষায় মা-বাবার সঙ্গে কন্যা সন্তানের মিল পাওয়া যায়। হাসপাতালের রেজিস্ট্রার খাতায় মেয়ের বদলে ছেলের ভুল তথ্য লেখায় এমন সমস্যায় পড়তে হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। মায়ের বুকে তার সন্তানকে ফিরিয়ে দিতে পেরেছি। এতেই আমরা আনন্দিত। তবে এমন ভুল তথ্য যাতে কখনো না লেখা হয় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে বলেও জানান এই শিশু চিকিৎসক।
এদিকে মা পাপিয়া আক্তার বলেন, ‘আমার ছেলে হয়েছে এমন তথ্যটি গাইনি ওয়ার্ডেই ভুল লিখেছিল। সেখান থেকেই আমাদের মধ্যে ভুল ধারণা তৈরি হয়। পরে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে কন্যা সন্তান হয়েছে বলে প্রমাণিত হয়েছে।’
মেয়েকে কাছে পেয়ে এখন খুব ভালো লাগছে জানান পাপিয়া আক্তার। এ রকম যেন আর না হয় সে দিকেও লক্ষ রাখতে হাসপাতাল প্রশাসনকে অনুরোধ করেন পাপিয়া আক্তার।
আজ দুপুরে শিশুটিকে তাঁর মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেওয়ার পর শিশু বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক, নার্সদের মধ্যে আনন্দঘন পরিবেশ তৈরি হয়। পরে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে নবজাতক ও তার মা পাপিয়াকে বিদায় জানাণ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর, সোমবার দুপুরে পরিবারের কাছে মেয়ে সন্তান সরবরাহ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু পাপিয়ার স্বামী মনু মিয়া অভিযোগ করেন, তাঁর স্ত্রীর মেয়ে হয়নি, ছেলে হয়েছে। তাঁর সন্তান অদল-বদল করা হয়েছে।