জন্মভূমিতে হলো ‘বারী সিদ্দিকী’র স্মরণানুষ্ঠান

বাংলাদেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী, গীতিকার ও বংশীবাদক সদ্য প্রয়াত বারী সিদ্দিকীকে নিয়ে নেত্রকোনায় অনুষ্ঠিত হলো এক স্মরণানুষ্ঠান। গত রোববার সন্ধ্যায় নেত্রকোনা শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে এই অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানের স্লোগান ছিল ‘সুরের মূর্ছনায় তুমি বাঁশিওয়ালা’।
নেত্রকোনা শিল্পকলা একাডেমির হলরুমে অনুষ্ঠিত এই স্মরণানুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা কালচারাল অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ড. মুশফিকুর রহমান।
এ ছাড়া নেত্রকোনা প্রত্যাশা সাহিত্য গোষ্ঠীর আয়োজনে শহরের উকিলপাড়ায় অনুষ্ঠিত হয় স্মরণসভা ও সংগীতানুষ্ঠান।
সদ্য প্রয়াত এ গুণী শিল্পীর স্মৃতিচারণা করে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জেলা উদীচীর সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক বাচ্চু, জেলা প্রেসক্লাবের সম্পাদক শ্যামলেন্দু পাল, নেত্রকোনা সাহিত্য সমাজের সভাপতি অধ্যাপক কামরুজ্জামান চৌধুরী, শিল্পী দুলাল পত্রনবীশ প্রমুখ।
এর আগে প্রয়াত বারী সিদ্দিকীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে তাঁর গাওয়া ও লেখা গান পরিবেশন করেন জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীরা।
গত ২৪ নভেম্বর ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন বারী সিদ্দিকী। নেত্রকোনা সদর উপজেলার রৌহা ইউনিয়নের কারলি গ্রামের বাউলবাড়িতে চিরনিদ্রায় শায়িত হন তিনি। লোকজ ধারার সংগীতজগতের এক নক্ষত্রকে হারায় সংস্কৃতিকর্মীসহ তাঁর অগণিত ভক্তরা।
১৯৯৯ সালে হুমায়ূন আহমেদের ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ছবিতে তিনটি গান গেয়ে আলোচনায় আসেন বারী সিদ্দিকী। এরই মধ্যে তাঁর বেশ কিছু গান ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। ‘আমার গায়ে যত দুঃখ সয়’, ‘মানুষ ধরো মানুষ ভজ’, ‘পুবালি বাতাসে’ গানগুলো ভক্ত-অনুরাগীদের মুখে মুখে ঘুরে বেড়ায়।
মহুয়া মলুয়ার জেলা নেত্রকোনায় ১৯৫৪ সালের ১৫ নভেম্বর বারী সিদ্দিকীর জন্ম হয়। শৈশবে পরিবারেই তাঁর বাঁশি ও গান শেখার হাতেখড়ি। কিশোর বয়সে নেত্রকোনায় ওস্তাদ গোপাল দত্তের কাছে তালিম নিতে শুরু করেন বারী সিদ্দিকী। পরে পর্যায়ক্রমে ওস্তাদ আমিনুর রহমান, দবির খান, পান্না লাল ঘোষসহ বহু গুণী শিল্পীর সরাসরি সান্নিধ্য লাভ করেন তিনি।