‘প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে বলে বিভ্রান্ত করছেন ফখরুল’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে বলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতিকে বিভ্রান্ত করছেন।
আজ শুক্রবার বগুড়া স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত বিজয় দিবসের আলোচনা ও মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে হানিফ এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ নেতা আরো বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার কোনো ইচ্ছা সরকারের নেই। বরং নিজ ও দলের অপকর্মের কারণে জনগণ থেকে খালেদা জিয়া দূরে সরে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, সরকার কাউকে নির্বাচনে আনতেও পারে না বা নির্বাচন থেকে দূরেও রাখতে পারে না। যথানিয়মে আগামী নির্বাচন হবে। তাতে অংশ নেওয়ার জন্য বিএনপির প্রতি আহ্বান জানান হানিফ।
হানিফ আরো বলেন, ‘সৌদি আরবে টাকা বিনিয়োগ করেছেন। ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। এটা তো পত্রিকায় এসেছে। তারেক রহমানের, কোকো রহমানের বিনিয়োগ করা আছে টাকা; সেটা তো পানামা পেপারসে চলে আসছে। এই মিডিয়াগুলাতে সৌদি আরব বা বিভিন্ন জায়গায় যে টাকা বিনিয়োগ হয়েছে, আপনার নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বা তারেক রহমানের; কই সেই মিডিয়ার বিরুদ্ধে কথা বলেন নাই? মিডিয়াকে চ্যালেঞ্জ করলেন না? মিডিয়াকে চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন না। কারণ জানেন যে, মিডিয়াকে চ্যালেঞ্জ করলে আরো তথ্য বেরিয়ে আসবে। উনি সেটা না করে উনি প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমা চাওয়ার কথা বলে জাতিকে বিভ্রান্ত করতে চাচ্ছেন।’
গতকাল বৃহস্পতিবার গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিক নেতা মনজুরুল আহসান বুলবুল প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন রাখতে গিয়ে বলেন, ‘খালেদা জিয়া আদালতে জানিয়েছেন যে তিনি শেখ হাসিনাকে ক্ষমা করেছেন। অথচ সম্প্রতি সৌদি আরবে টাকা পাচারের সঙ্গে খালেদা জিয়ার সম্পৃক্ততা বিষয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খবর এসেছে। এ ক্ষেত্রে সরকার কি তাঁকে ক্ষমা করবে?’
এই প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি-জামায়াত সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘কেন এই টাকা পাচারের খবর তুলে ধরা হলো না?’ তিনি বলেন, ‘সৌদিতে যে বিশাল শপিংমল, সম্পদ পাওয়া গেছে, আপনাদের (সাংবাদিকদের) তো এ ব্যাপারে কোনো আগ্রহ দেখি না। এত দুর্বলতা কিসের জন্য? এই যে মানি লন্ডারিং, এটা যে বিএনপি এবং খালেদা জিয়ার ছেলেরা করেছে এটা তো আমরা বের করিনি। এটা বের করেছে আমেরিকা।’
আজ ফখরুল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর এসব বক্তব্য বেআইনি ও শাস্তিযোগ্য। শেখ হাসিনা বিএনপির বিরুদ্ধে দেওয়া দুর্নীতির অভিযোগের সত্যতা তন্নতন্ন করেও আজ পর্যন্ত খুঁজে পায়নি। জোর করে গণমাধ্যমে প্রকাশ, শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও দেউলিয়াত্ব প্রমাণ করে। বানোয়াট এসব তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। অবিলম্বে এ বক্তব্য প্রত্যাহার করে খালেদা জিয়া ও জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি এবং ভবিষ্যতে এমন মিথ্যা মন্তব্য না করার জন্যও আহ্বান জানাচ্ছি।’