গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ পরিবারের

গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা থেকে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার বরচালা গ্রাম থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত নাজমা বেগম (১৯) ওই গ্রামের রাজমিস্ত্রী আতাবুদ্দিনের স্ত্রী। ঘটনার পর থেকেই আতাবুদ্দিন পলাতক। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নাজমার বাবা নাজিম উদ্দিন সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, প্রায় দেড় মাস আগে নাজমা ভালোবেসে রাজমিস্ত্রি আতাবুদ্দিনকে পরিবারের অমতে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে নাজমা স্বামীর বাড়িতেই থাকতেন। নাজমা এ বছর স্থানীয় টোক এলাকার শহীদ মোমতাজ উদ্দিন কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। আগামী ৯ আগস্ট পরীক্ষার ফল বের হওয়ার কথা রয়েছে।
গতকাল বুধবার নাজমা কলেজ থেকে উপবৃত্তির দুই হাজার ৫০০ টাকা তুলে নিয়ে বাড়ি ফেরেন। এটা জানতে পেরে আতাবুদ্দিন উপবৃত্তির টাকা নাজমাকে দিতে বলেন। নাজমা রাজি না হওয়ায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথাকাটাকাটি ও মনোমালিন্য হয়।
নাজিম উদ্দিন অভিযোগ করেন, ‘এ ঘটনার জের ধরে বুধবার দিবাগত রাতের কোনো একসময় নাজমাকে তাঁর স্বামী গলাটিপে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে নাজমার লাশ বাড়ির পাশের আমগাছের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে রাখে।’
তবে আতাবুদ্দিনের পরিবারের সদস্যরা জানায়, নাজমা গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান উল্লাহ জানান, ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা তা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার আগে বলা যাচ্ছে না। আজ বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্তের জন্য লাশ শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে নাজমার গলায় কালো দাগ রয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।