স্বাস্থ্যখাত সংস্কার আন্দোলনে ভাঙন, বরিশাল বিএম কলেজে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ দেশের স্বাস্থ্যখাত সংস্কার আন্দোলনকারী দুটি গ্রুপের মধ্যে হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। রোববার (১০ আগস্ট) রাতে বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজ ক্যাম্পাসে এই সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষে আন্দোলনকারী মহিউদ্দিন রনিসহ দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় দুই পক্ষের পাঁচজনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমান, রাফি, সিফাত ও সুহানের নাম জানা গেছে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় রোববার বিকেলে। নগরীর নথুল্লাবাদ এলাকায় স্বাস্থ্যখাত সংস্কার আন্দোলনের ১৪তম দিনের কর্মসূচি শেষে দুই গ্রুপ শিক্ষার্থীর মধ্যে সিনিয়র-জুনিয়র ও ধূমপান করা নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়, যা পরে সংঘর্ষে রূপ নেয়। সেসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নারী নেতৃবৃন্দও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী লাঠিচার্জ করে। তবে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, চলমান আন্দোলন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ভেবে দুই গ্রুপ সমঝোতায় বসার সিদ্ধান্ত নেয়। সে অনুযায়ী রবিবার রাতে বিএম কলেজ ক্যাম্পাসে তারা মিলিত হয়। কিন্তু সেখানে আলোচনার পরিবর্তে দুই পক্ষ হাতাহাতি ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া মহিউদ্দিন রনি দাবি করেছেন, চলমান স্বাস্থ্যখাত সংস্কার আন্দোলনকে ‘বাঞ্চাল’ করতেই একটি পক্ষ তাদের ওপর হামলা করেছে।
অন্যদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বরিশাল জেলার সাবেক আহ্বায়ক সাব্বির হোসেন বলেন, নথুল্লাবাদের ঘটনার জের ধরেই বিএম কলেজে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। মূলত সিনিয়র-জুনিয়রকে কেন্দ্র করেই এই ঘটনা ঘটেছে।
শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মশিউল মুনীর জানিয়েছেন, আহতদের মধ্যে আশঙ্কাজনক কেউ নেই।
সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনাটি বিএম কলেজ ক্যাম্পাসের ভেতরে ঘটেছে। কলেজের অনুমতি না থাকায় পুলিশ ক্যাম্পাসের ভিতরে প্রবেশ করেনি। তবে হাসপাতাল ও ক্যাম্পাসের আশপাশে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।