নারায়ণগঞ্জে জোড়া খুন, বিএনপির নেতাকে গ্রেপ্তারের দাবি

নারায়ণগঞ্জের কাশিপুরে জোড়া খুনের ঘটনায় বিএনপি নেতা এম এ মজিদ ও তাঁর ভাই হাসান আহম্মেদসহ সব খুনিকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে নিহত মিল্টন ও পারভেজের পরিবার।
আজ মঙ্গরবার সকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের শহীদ হানিফ খান মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে তারা এ দাবি জানায়।
গত ১২ অক্টোবর রাতে ফতুল্লার কাশিপুর এলাকায় শ্রমজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি তুহিন হাওলাদার মিল্টন ও তাঁর ব্যবস্থাপক পারভেজকে হত্যা করা হয়।
নিহত মিল্টনের চাচাতো ভাই সাইফুল্লাহ তারেক লিখিত বক্তব্যে দাবি করেন, হত্যায় অভিযুক্ত রায়হান, দুলাল ও রাকিবের কাছে মিল্টন প্রায় ১৭ লাখ টাকা পেতেন। এই পাওনা টাকার জের ধরে মিল্টন ও তাঁর ব্যবস্থাপককে বিএনপি নেতা এম এ মজিদ ও হাসান আহম্মেদের নির্দেশে হত্যা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে নিহত মিল্টনের স্ত্রী হাজেরা বেগম সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। এ সময় তাঁদের তিন মেয়েশিশু উপস্থিত ছিল।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জোড়া খুনের ঘটনায় পরিবার কোনো মামলা না করলেও পুলিশ বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় একটি মামলা করে। এতে হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় এমন ২২ জনের নাম উল্লেখ করা হলেও বিএনপির দুই নেতার নাম নেই। গ্রেপ্তার হওয়া জুম্মন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে জোড়া খুনের সঙ্গে বিএনপি নেতা এম এ মজিদ ও তাঁর ভাই হাসান আহম্মেদ জড়িত বলে দাবি করেন।