অভিজিৎ হত্যা মামলায় সোহেলের স্বীকারোক্তি

ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
আজ সোমবার ঢাকার মহানগর হাকিম আহসান হাবীবের আদালতে সোহেল ওরফে সাকিব এ জবানবন্দি দেন বলে জানিয়েছেন আদালতের পুলিশপ্রধান ও ঢাকার অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার আনিসুর রহমান।
আনিসুর রহমান জানান, আজ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে গ্রেপ্তার আসামি সোহেলকে হাজির করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক আহসান হাবীব আসামি সোহেলের স্বীকারোক্তি রেকর্ড করেন। পরে সোহেলকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গতকাল রোববার রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)।
গ্রেপ্তার আবু সিদ্দিক সোহেল আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের ইন্টেলিজেন্স শাখার সক্রিয় সদস্য বলে দাবি করেছে সিটিটিসি।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গণমাধ্যম শাখার উপকমিশনার মাসুদুর রহমানের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানিয়েছে, গতকাল রাত ৮টার দিকে মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোডে অভিযান চালান সিটিটিসির বিশেষ দলের সদস্যরা। তিনি আরো জানান, গ্রেপ্তার সিদ্দিককে হত্যাকাণ্ডের দিন বাংলা একাডেমির মেলা চত্বরের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে শনাক্ত করা হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার সিদ্দিক আনসারুল্লাহ বাংলা টিমে সদস্য হওয়ার কথা এবং ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন বলে ইউএনবিকে জানিয়েছে একটি সূত্র।
২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় লেখক অভিজিৎকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় অভিজিতের স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাও গুরুতর আহত হন।
ঘটনায় অভিজিতের বাবা অধ্যাপক অজয় রায় বাদী হয়ে ২০১৫ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন।