‘লাঞ্ছিত করার পর বলে, এমপি তোকে থানায় দিতে বলেছে’

মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের নিচে বাঘুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সচিব আবদুল বাসেতকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। আজ রোববার বিকেলে যুবলীগ নেতা বাচ্চু এ ঘটনা ঘটান। পরে চকমিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলামের সহযোগিতায় ওই সচিবকে উদ্ধার করা হয়।
যুবলীগের ওই নেতা নিজেকে বাঘুটিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি বলে দাবি করেছেন। তবে তিনি আওয়ামী লীগের স্থানীয় সংসদ সদস্য নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের বাসায় কাজ করেন এবং সম্প্রতি উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষিত ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা বলে জানা গেছে।
ইউপি সচিব আবদুল বাসেত জানান, চেয়ারম্যানের নির্দেশে উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তার (পিআইও) কার্যালয়ে যান তিনি। সেখানে আগেই অবস্থান নেওয়া কয়েকজন যুবককে দেখতে পান। পিআইও অফিসের কয়েকজন স্টাফ তাঁকে অবস্থা বেগতিক বলে জানান এবং ইউএনওর কার্যালয়ে যেতে বলেন। এরপর তিনি সেখানে গিয়ে ইউএনও কানিজ ফাতেমাকে বিষয়টি খুলে বলেন। ইউএনও তাঁর দুজন স্টাফকে সচিবের সঙ্গে পাঠান তাঁকে পৌঁছে দেওয়ার জন্য।
বাসেত আরো বলেন, “আমরা ইউএনও অফিস থেকে নিচে নামতেই যুবলীগ নেতা বাচ্চু আমার শার্টের কলার ধরে টেনে নিয়ে যায় ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এ সময় তিনি ‘এমপি তোকে থানায় দিতে বলেছে’ বলে জানান। উপজেলা চত্বরে সবার সামনে বসিয়ে রেখে নানাভাবে অপদস্ত করেন। পরে চকমিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম লোক পাঠিয়ে আমাকে উদ্ধার করেন এবং তাঁর পরিষদে নিয়ে যান।”
যুবলীগ নেতা বাচ্চুর সঙ্গে কোনো দ্বন্দ্ব ছিল কি না জানতে চাইলে বাঘুটিয়া ইউপি সচিব বলেন, ‘আমার সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কোনো দ্বন্দ্ব নেই। তবে চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেনের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণে তিনি আমার ওপর আক্রমণ করতে পারেন।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে যুবলীগ নেতা বাচ্চু বলেন, ‘এসব অভিযোগ মিথ্যা। সচিবকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়নি। তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি চাল চুরির অভিযোগ ছিল। সে বিষয়ে কথা বলতেই তাঁকে ডাকা হয়। কিন্তু তিনি আমাদের দেখেই দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করেন।’
ইউএনও কানিজ ফাতেমা বলেন, ‘বিষয়টি আমি জানার পর সচিবকে পৌঁছে দিতে আমার দুজন স্টাফকে সঙ্গে দিয়েছি। কিন্তু পরে সেখানে কী হয়েছে তা জানি না।’