নেত্রকোনায় দম্পতির মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা

নেত্রকোনা শহরের সাতপাই বাবলু স্মরণী এলাকায় দম্পতির মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ডাকাতিসহ হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে দম্পতির ছেলে সুমন কান্তি বিশ্বাস নেত্রকোনা মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন মামলার হওয়ার কথা নিশ্চিত করেন।
মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন জানান, নিহতদের ছেলে সুমনের দায়ের করা মামলায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতদের ব্যবহৃত দুটি মুঠোফোন ও আনুমানিক তিন থেকে চার লাখ টাকার মালামাল খোয়া গেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে নিজ ঘর থেকে ওই দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত দম্পতি হলেন মিহির কান্তি বিশ্বাস (৭০) ও তাঁর স্ত্রী তুলিকা বিশ্বাস (৫০)। মিহির কান্তি বিশ্বাস সদর উপজেলার কৃষ্ণগোবিন্দ উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ছিলেন। তাঁর স্ত্রী তুলিকা সমাজসেবা কার্যালয়ের মাঠকর্মী ছিলেন।
ওই দম্পতির গৃহপরিচারিকা জয়া রানী জানান, গত বুধবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে তিনি ওই বাসায় কাজ শেষে বেরিয়ে যান। এরপর শুক্রবার দুপুরে তিনি যখন ওই বাসায় কাজ করতে আসেন, তখন বাসার গেটে তালা দেওয়া ছিল। এ সময় ঘরের ভেতর থেকে দুর্গন্ধ বের হলে বিষয়টি তিনি স্থানীয়দের জানান। এই খবর পেয়ে নাগড়া এলাকা থেকে মিহির বিশ্বাসের ছোট ভাই সমীর বিশ্বাসও আসেন। স্থানীয়দের উপস্থিতিতে সমীর বিশ্বাস তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে রান্নাঘরের মেঝেতে বৌদি তুলিকার মরদেহ ও বেডরুমে খাটের ওপর ভাই মিহিরের মরদেহ দেখতে পান।
নিহত তুলিকা বিশ্বাসের ভাই মৃত্যুঞ্জয় চন্দ জানান, ওই বাসায় শুধু তাঁর বোন তুলিকা ও ভগ্নিপতি মিহির থাকতেন। তাঁদের সুমন নামে এক ছেলে ও সুমি নামে এক মেয়ে রয়েছে। তাঁরা ঢাকায় থাকেন। ছেলেটি সর্বশেষ দুর্গাপূজায় এসেছিলেন। সমস্ত ঘরটি এলোমেলো ও আলমারির তালা ভাঙা অবস্থায় পাওয়া গেছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) জয়দেব চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আজিজ হায়দার ভূইয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম আশরাফুল আলম, মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন (সদর সার্কেল), থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমীর তৈমুর ইলী।
জেলা পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী জানান, যারা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।