দুই মামলায় রিজভীর রিমান্ড-জামিন নাকচ

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বিরুদ্ধে মতিঝিল থানার করা নাশকতার দুই মামলায় রিমান্ড ও জামিন আবেদন উভয়ই নাকচ করে দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার শুনানি শেষে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম শামসুল আরেফিন এই দুটি আবেদন নামঞ্জুর করে আগামী দুই কার্যদিবসের মধ্যে জেলগেটে রিজভীকে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন।
গতকাল সোমবার ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে মতিঝিল থানার ৮ (১) ১৫ নম্বর মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা শেখ মফিজুর রহমান ও ২২ (১) ১৫ নম্বর মামলার আওয়াল হোসেন বিএনপি নেতাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন।
অন্যদিকে রিজভীর পক্ষে তাঁর আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া রিমান্ডের আবেদন নাকচ চেয়ে জামিন আবেদন করেন।
রিজভীর পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন মেজবা। তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, সবকটি মামলায় জামিন পাওয়ার পরও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে রিজভীকে আটকে রাখার জন্য এই মামলা দেওয়া হয়েছে।
রিমান্ডের পক্ষে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট তাপস পাল ও অ্যাডভোকেট সালমা হাই টুনি।
আইনজীবী তাপস পাল এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আইন মোতাবেক আসামি রিজভীর রিমান্ড চাওয়া হয়েছে এবং আমরা আদালতে আইনসঙ্গতভাবে রিমান্ডের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেছি। আদালত রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে দিয়ে দুই কার্যদিবসের মধ্যে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন।’ গতকাল ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে রিজভীর রিমান্ড চাওয়া হলে আদালত আজ রিমান্ড শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।’
গত ৮ জানুয়ারি মতিঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসেন বিস্ফোরক আইনে ৮ (১) ১৫ নম্বর মামলাটি করেন। এই মামলায় বলা হয়, ২০ দলীয় জোটের নেতারা ৮ জানুয়ারি মতিঝিল থানাধীন এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাস (ঢাকা মেট্রো ব-১৪-৩২২৩) আগুনে পুড়িয়ে দেন।
গত ১৯ জানুয়ারি মতিঝিল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বিস্ফোরক আইনে ২২ (১) ১৫ নম্বর মামলাটি করেন। ওই মামলার বিবরণে বলা হয়, ১৯ জানুয়ারি মতিঝিল থানাধীন এলাকায় মধুমিতা সিনেমা হলের সামনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীরা অবরোধ কর্মসূচি সফল করার উদ্দেশে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালান এবং জনতা ব্যাংক লিমিটেডের স্টাফ বাস (ঢাকা মেট্রো ব-১১-০১৩৭) পুড়িয়ে দেন।