ট্রেনের ইঞ্জিনে ভ্রমণ, ডালের আঘাতে মৃত্যু

ট্রেনের ইঞ্জিনে চড়ে ভ্রমণের সময় গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় আজ শনিবার গাছের ডালের আঘাতে একজন নিহত ও দুজন আহত হয়েছেন।
নিহত ব্যক্তির নাম মাজেদা বেগম (৩৫)। আহত হয়েছেন তাঁর স্বামী রজব আলী (৫০)। তাঁরা নওগাঁর রানীনগর উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের বাসিন্দা। আহত অপর ব্যক্তি হোসেন আহম্মেদ (৩৫) টাঙ্গাইলের ভুঞাপুর উপজেলার বাসিন্দা।
নিহত মাজেদার ছেলে সম্রাট ওই ট্রেনের যাত্রী ছিলেন। তিনি জানান, তাঁরা ঈদ উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জে বেড়াতে আজ শনিবার সকালে মা-বাবার সঙ্গে বগুড়ার সান্তাহার রেলস্টেশন থেকে ঢাকাগামী রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে ওঠেন। অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে যাত্রীবাহী বগিতে উঠতে না পেরে অন্যান্যের সঙ্গে ট্রেনের ইঞ্জিনের বগিতে চড়েন। দুপুরে ট্রেনটি রাজশাহী-জয়দেবপুর রেলপথের কালিয়াকৈরের ভাউমান টালাবহ এলাকায় পৌঁছালে রেলপথ ঘেঁষে থাকা একটি গাছের ডালের সঙ্গে ইঞ্জিনের পাশে বাইরে থাকা তাঁর বাবা রজব আলী, মা মাজেদা বেগম ও অপর এক যাত্রী হোসেন আহম্মেদ সজোরে ধাক্কা খান। এ সময় রজব আলী ও হোসেন আহম্মেদ চলন্ত ট্রেন থেকে নিচে পড়ে যান। মা মাজেদা বেগম গুরুতর আহত অবস্থায় ইঞ্জিনের পাশের রেলিংয়ের সঙ্গে ঝুলতে থাকেন। পরে মাজেদা বেগমও পাশের রতনপুর রেলস্টেশন এলাকায় ট্রেনের রেলিং থেকে নিচে পড়ে যান। স্থানীয় বাসিন্দারা মাজেদাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
সম্রাট আরো জানান, ঘটনার সময় ট্রেনের ইঞ্জিনের বগিতে তিনিও ছিলেন। তবে অল্পের জন্য তিনি প্রাণে বেঁচে যান।
এদিকে রজব আলী ও হোসেন আহম্মেদকে স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
পরে হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বিকেলে আহত বাবা রজব আলী ও মায়ের লাশ নিয়ে নওগাঁয় গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে চলে যান সম্রাট।
রতনপুর রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার আবদুর রহমান জানান, স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় নিহতের লাশ তাঁর স্বজনরা উদ্ধার করে গ্রামের বাড়ি নিয়ে গেছেন। এ ছাড়া গাছের ডালের আঘাতে ট্রেন থেকে পড়ে আরো দুই যাত্রী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের পুলিশফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) দাদন খান জানান, ‘দুর্ঘটনার খবর শুনেছি।’ তবে নিহত ও আহতদের ব্যাপারে কিছু বলতে পারেননি তিনি।