নেত্রকোনায় কলেজছাত্র হত্যা মামলায় একজন গ্রেপ্তার

নেত্রকোনার বারহাট্রা উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে কলেজছাত্র নিহতের ঘটনায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার সিলেটের গোপালগঞ্জ থানা এলাকা থেকে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পরে রাতেই তাঁকে নেত্রকোনা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।
গ্রেপ্তার যুবকের নাম রবিন। তিনি বারহাট্রার ভাটি নয়াপাড়ার বাসিন্দা। পুলিশের ভাষ্য, রবিন ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনার অন্যতম প্রধান আসামি।
গত ৭ সেপ্টেম্বর বারহাট্টার আসমা ইউনিয়নের ভাটি নোয়াপাড়ার মুক্তিযোদ্ধা মঞ্জুরুল হকের ছেলে নেত্রকোনা আবু আব্বাছ ডিগ্রি কলেজের বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্র আজিজুল হককে (২২) জমি নিয়ে বিরোধের জেরে হত্যা করা হয়।
নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন বলেন, সিলেট থেকে রবিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে ধরতে অভিযান চালান ডিবির পরিদর্শক নাজমুল হাসানের নেতৃত্বে উপপরিদর্শক (এসআই ) শাখাওয়াত, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই ) আরিফ, এএসআই মোশারফ, কনস্টেবল খোরশেদ ও শফিকুল।
ছানোয়ার হোসেন জানান, আজিজুল হক হত্যা মামলার মূল অভিযুক্ত ও অন্যতম প্রধান আসামি রবিন। অন্য আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া চলছে। এর আগে একই গ্রামের রিফাতকে আটক করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভাটি নোয়াপাড়া গ্রামের মঞ্জুরুল হকের সঙ্গে সিদ্দিকুর রহমান, ইনছান মিয়া ও শফিকুল ইসলামের জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে গত ৭ সেপ্টেম্বর রাতে আসমা বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে গ্রামের রাস্তায় আজিজুলকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। স্থানীয়রা আজিজুলকে উদ্ধার করে বারহাট্রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে নেত্রকোনা থেকে রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেও তাঁর অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।। সেখানে গত ৮ সেপ্টেম্বর মারা যান আজিজুল।